ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে আশ্রমে রেখে পালিয়েছে মা

প্রকাশিত: ১১:৫৫, ২১ আগস্ট ২০১৯

মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে আশ্রমে রেখে পালিয়েছে মা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২০ আগস্ট ॥ মানসিক হাসপাতালে অসুস্থ যুবতী মেয়েকে ভর্তি করতে না পেরে সৎসঙ্গ আশ্রমে মেয়েকে শিকলে বেঁধে পালিয়েছে মা। দু’মাস ধরে আশ্রম কতৃপক্ষ তাকে দেখভাল করছে। যুবতী তার নাম বলছে রুপনা কখনও লুবনা। তবে লুবনা বলেই সে ফিক ফিক করে হেসে উঠছে। হেমায়েতপুর সৎসঙ্গ আশ্রমের বারান্দায় তার ঠাঁই হয়েছে। সে কখনও গান গাইছে, নাচ করছে আবার মাঝে মাঝে আকাশের দিকে নীরব দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছে। লুবনাকে ২ মাস আগে মানসিক হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসে তার মাসহ স্বজনরা। কিন্তু ভর্তি করতে না পারায় মানসিক হাসপাতালের কাছেই অবস্থিত ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের বারান্দায় মায়ের সঙ্গে রাতে আশ্রয় নেয় লুবনা। কিন্ত ভোরের আলো না ফুটতেই কাউকে না জানিয়ে মেয়েটাকে শিকলে বেঁধে চলে যায় মা। সেই থেকে মেয়েটার ঠাঁই হয়েছে আশ্রমের এই বারান্দায়। শেকল পায়ে বসে থাকে লুবনা। কখনও শিকল খুলে দিলেও কোথায়ও যায়না। আশ্রম কর্মী খোদেজা ওরফে কৈতুরী বেগম মায়ের আদরে রেখেছেন মেয়েটিকে। কৈতুরী বেগম মেয়েটাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টাও করেছিলেন কিন্ত হাসপাতালের নিয়মে প্রকৃত অভিভাবক ছাড়া রোগী ভর্তি করার নিয়ম না থাকায় তা হয়নি। আশ্রম কর্মকর্তা তাপস কুমার রায় জানান, মেয়েটিকে নিয়ে বড়ই বিপদে আছি। একটা ১৮ -২০ বছরের মেয়ে এভাবে কতদিন আশ্রমে রাখতে পারব তা নিয়ে তারা চিন্তিত। গত দুই মাসে অনেকবার লুবনার সঙ্গে কথা হয়েছে। আশ্রম কর্তৃপক্ষ অনেকটা ধারণা করতে পারছেন লুবনার বাড়ি চট্টগ্রাম। মেয়েটা তার বাবার নাম বলছে জহির। মামার বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ হাজীপাড়া। মামার বাড়ি থেকে হাজীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছে। সম্ভবত বাবা মায়ের মধ্যে সম্পর্ক নেই। আশ্রম কর্তৃপক্ষ মানসিক অসুস্থ মেয়েটির চিকিৎসাসহ স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
×