ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন পাঁচ শ’ ফগার ও দুই শ’ হ্যান্ড স্প্রে মেশিন আনছে ডিএনসিসি

প্রকাশিত: ১১:৫০, ২১ আগস্ট ২০১৯

নতুন পাঁচ শ’ ফগার ও দুই শ’ হ্যান্ড স্প্রে মেশিন আনছে ডিএনসিসি

মশিউর রহমান খান ॥ সীমানার সকল অলিগলি ও বাসাবাড়িতে সারাবছর একযোগে মশা নিধনের জন্য নতুন ৫০০ ফগার মেশিন ও লার্ভাসাইড ধ্বংস করতে দুই শ’ হ্যান্ড স্প্রে মেশিন আনছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ২০০ ফগার মেশিন ও ১৫০ লার্ভা ধ্বংসে ব্যবহৃত হ্যান্ড স্প্রে মেশিন এসে ডিএনসিসিতে পৌঁছেছে। এসব মেশিন দিয়ে নতুন যুক্ত হওয়া এলাকাসহ ডিএনসিসি সীমানার সকল স্থানেই বছরব্যাপী মশক নিধন কাজ চালাবে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির মেয়র আতিকুল ইসলাম জনকণ্ঠকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ বছরের নির্দিষ্ট সময় মশার ওষুধ প্রতিটি এলাকায় ছিটানোর কাজ করছে। তবে মশা মারতে নতুন কার্যকরী ওষুধ আনার পরেও শুধুমাত্র জনবল আর মেশিন না থাকার জন্য এসব ওষুধ পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছে না ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। অনেক বছর যাবত প্রতিটি ওয়ার্ডে মাত্র ৫ জন মশক নিধন কর্মী একটি ওয়ার্ডে সকালে ও বিকেলে মশার ওষুধ ছিটাতেন। এর মধ্যে সকালে লার্ভাসাইড ও বিকেলে ফগার মেশিন দিয়ে কীটনাশক ছিটানোর কাজ করত ডিএনসিসি। কিন্তু প্রতিটি ওয়ার্ডে মাত্র পাঁচটি মেশিন আর পাঁচজন জনবল দিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডের মশা পুরোপুরি নিধন করা কোনমতেই সম্ভব হয় না। এর ফলে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়াসহ মশাবাহিত নানা রোগের প্রতিনিয়তই শিকার হচ্ছেন নাগরিকগণ। এছাড়া সারাবছর মশক নিধনের কাজ না করতে পারায় বর্তমানের ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাই বর্তমানে প্রতিটি ওয়ার্ডে তিন ধাপে মোট ১৫ জন করে প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিধনের কাজ শুরু করবে। তবে পুরনো ওয়ার্ডেই কেবল এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানা গেছে। ডিএনসিসি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যেই মেয়র আতিকুল ইসলাম নতুন যুক্ত হওয়া এলাকাগুলোতেও যাতে নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো যায় তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করে ছিটানোর কাজ শুরু করেছে। কিন্তু জনবল সঙ্কট তীব্র হওয়ায় ও একইসঙ্গে কোন অতিরিক্ত মেশিন না থাকায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ মশক নিধন করতে পারছেন না। এমতাবস্থায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে নাগরিকদের স্বস্তি দিতে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ অতি দ্রুততার সঙ্গে ফগার মেশিন ও লার্ভা ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হ্যান্ড স্প্রে মেশিন আনার উদ্যোগ নেন। ডিএনসিসি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে নতুন ২০০ ফগার মেশিন আনার কাজ সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি। এছাড়া নতুন ১৫০ হ্যান্ড স্প্রে মেশিন এনেছে। বাকি নতুন তিন শ’ ফগার মেশিন ও ৫০ হ্যান্ড স্প্রে মেশিন আগামী সেপ্টেম্বর আনা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অপর একটি সূত্র জানায়, এসব মেশিন আনা হলেও চাহিদার তুলনায় এসব মেশিন যথেষ্ট নয়।
×