ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চসিক অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধিতে ব্যয় বেড়েছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ২১ আগস্ট ২০১৯

চসিক অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধিতে ব্যয় বেড়েছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) অস্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধিতে বছরে ব্যয় বেড়েছে আরও প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা। মঙ্গলবার সকালে মহানগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কর্পোরেশনের পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের ৫৪তম সাধারণ সভায় এ তথ্য জানান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। সভায় দৈনিক ভিত্তিক কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকদের প্রণোদনা হিসেবে বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। চসিক জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে জানানো হয়, চসিকের ছয় হাজার ৩১০ কর্মকর্তা ও কর্মচারী দৈনিক এবং নির্ধারিত বেতনে কর্মরত রয়েছেন। এরমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ডোর টু ডোর সেবাদানে নিয়োজিত কর্মচারীরাও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের মতো একই হারে বেতন পাবেন। অস্থায়ী কর্মকর্তা- কর্মচারীর বেতন বৃদ্ধির ফলে প্রতি মাসে ৫৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় গুনতে হবে এবং বছরে আরও ছয় কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ল চসিকের । সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দায়িত্ব গ্রহণ পরবর্তী প্রথম ধাপে ১৫ শতাংশ এবং এবার দ্বিতীয় ধাপে এই বেতন ভাতা বৃদ্ধি পায়। চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন-উর-রশিদ হাজারী, মেয়রের একান্ত সচিব মোঃ আবুল হাশেমসহ নগরীর সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী। মেয়র বলেন, এই নগরে ১ লাখ ৮৫ হাজার হোল্ডিং রয়েছে। এত সংখ্যক হোল্ডিং থাকলেও কাক্সিক্ষত ট্যাক্স পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও নগর পরিষেবা সচল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চসিককে। তিনি নগরবাসীর সেবার মান বৃদ্ধি এবং নগর উন্নয়নে নাগরিকদের সহযোগিতা ও দায়িত্বশীলতা কামনা করেন।
×