ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মিল্কভিটার ৪ হাজার একর জমি বেহাত ॥ উদ্ধারে তৎপরতা নেই

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ২১ আগস্ট ২০১৯

মিল্কভিটার ৪ হাজার একর জমি বেহাত ॥ উদ্ধারে তৎপরতা নেই

সংসদ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডকে (মিল্কভিটা) স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাঁচ হাজার একর গোচারণ ভূমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। কিন্তু পাঁচ হাজার একরের মধ্যে সময়ের ব্যবধানে চার হাজার একরই বেহাত হয়ে গেছে। দীর্ঘ সময়েও বেহাত হওয়া এই বিপুল পরিমাণ জমি উদ্ধারে সমবায়ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটির কার্যকর কোন তৎপরতা গ্রহণ না করায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় সরকারী প্রতিষ্ঠান কমিটি। কমিটি এই জমি উদ্ধারে দ্রুত মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। বৈঠকে মিল্কভিটায় উৎপাদিত দুধসহ দেশের তরল দুধের গুণগত মান নিয়ে একটি কুচক্রী মহল সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে বলে দাবি করেছে মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হীনস্বার্থ হাসিলের জন্য এমন অপপ্রচারের কারণে সুনাম নষ্ট হওয়ায় মিল্কভিটার দুধ বিক্রি কমেছে। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দুধের গুণগত মান বজায় রাখতে দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মিল্কভিটাকে পাঁচ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেন। বেহাত হতে হতে এখন মিল্কভিটার হাতে আছে এক হাজার একরের মতো জমি। তিনি বলেন, মিল্কভিটার কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিভিন্ন সময়ে অসাধু লোকজন জমি বরাদ্দ দিয়ে দখল করেছে। অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে জমি দখল করেছে। এই জমি উদ্ধারে মিল্কভিটা কখনও আইনী লড়াইয়ে যায়নি। কমিটি এই জমি উদ্ধারে মিল্কভিটাকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
×