ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীকে ভারত সফরে মোদির আমন্ত্রণ

প্রকাশিত: ১০:৫০, ২১ আগস্ট ২০১৯

প্রধানমন্ত্রীকে ভারত সফরে মোদির আমন্ত্রণ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দ্বিপক্ষীয় সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ওই সফরের জন্য মোদির আমন্ত্রণপত্র মঙ্গলবার বাংলাদেশের সরকার প্রধানের কাছে হস্তান্তর করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। খবর বিডিনিউজের। ঢাকা সফররত জয়শঙ্কর মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শান্তি নিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ এর উদ্বোধন এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিতে দুই দিনের ভারত সফর করেন তিনি। প্রেস সচিব বলেন, আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেয়ায় জয়শঙ্করকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। সৌজন্য সাক্ষাতের দুদেশের পারস্পরিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ইহসানুল করিম বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমাদের বোঝাপড়া, বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা এগুলো আরও গতিশীল হয়েছে।’ দুদেশের মধ্যে মানুষের যাতায়াত আরও সহজ করতে নয়াদিল্লী কাজ করছেন বলে জানান জয়শঙ্কর। জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতার আগ্রহের কথা উল্লেখ করে জয়শঙ্কর খরচ কম হওয়ায় জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা বন্দরকে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, দুদেশের মধ্যে কানেকটিভিটি সম্প্রসারিত হচ্ছে। নতুন অনেক রুট বাড়ছে। ‘আমাদের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন খাতের মধ্যে দারুণ সহযোগিতা রয়েছে,’ বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ইহসানুল করিম বলেন, ‘দুদেশের মধ্যে অনেক সমস্যা সমাধানের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে বিশেষ করে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেন তিনি। ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্থল সীমান্ত চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এটা বিশ্বে একটা উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। ভারতের পার্লামেন্টে সব দল এই চুক্তি পাশের সময় একযোগে সমর্থন দিয়েছিল।’ ভারত বাংলাদেশের ‘অকৃত্রিম বন্ধু’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে বাংলাদেশেকে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে ভারত। সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর সোমবার রাতে প্রথম বাংলাদেশ সফরে আসেন জয়শঙ্কর।
×