ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঘরের মাঠেও নড়বড়ে চেলসি

প্রকাশিত: ১১:০১, ২০ আগস্ট ২০১৯

 ঘরের মাঠেও নড়বড়ে চেলসি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ খেলোয়াড় হিসেবে চেলসির হয়ে দীর্ঘ সময় (২০০১-১৪) মাঠ মাতিয়েছেন ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। তারকা এই মিডফিল্ডার ব্লুজদের অনেক সাফল্যও এনে দিয়েছেন। কিন্তু বুটজোড়া তুলে রেখে একই দলের কোচ হিসেবে মিশন শুরু করে এখন পর্যন্ত সুবিধা করতে পারেননি সাবেক ইংলিশ তারকা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের নতুন মৌসুমে দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে চেলসি। এখনও জয় পায়নি তারা। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল। এরপর রবিবার রাতে নিজেদের মাঠ লন্ডনের স্টামফোর্ড ব্রিজে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে ল্যাম্পার্ডের শিষ্যরা। এগিয়ে যেয়েও শেষ পর্যন্ত সাবেক চ্যাম্পিয়ন লিচেস্টার সিটির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করতে হয়েছে স্বাগতিক চেলসিকে। এর ফলে দুই ম্যাচ শেষে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে ২০ দলের মধ্যে ১৫তম স্থানে অবস্থান করছে ব্লুজরা। দুই ম্যাচই ড্র করা লিচেস্টার ২ পয়েন্ট নিয়ে আছে ১২তম স্থানে। পূর্ণ ৬ পয়েন্ট করে নিয়ে গোল গড়ে এক ও দুইয়ে আছে যথাক্রমে লিভারপুল ও আর্সেনাল। ঘরের মাঠে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে লিচেস্টারের উইলফ্রেড এনডিডির ভুলে এগিয়ে যায় চেলসি। এ সময় অসতর্ক থাকা এনডিডির কাছ থেকে বল কেড়ে নেন ম্যাসন মাউন্ট। এরপর দ্রুত ডি বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভেদ করেন তরুণ ইংলিশ ফরোয়ার্ড। এই লিড ধরে রেখে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। বিরতির পর শুরু থেকে চেলসির রক্ষণে চাপ বাড়ায় লিচেস্টার। ফলস্বরূপ ৬৭ মিনিটে সমতা ফেরায় তারা। কর্নার থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করে প্রথমে গোল হজমের প্রতিদান দেন এনডিডি। বাকিটা সময়ে দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে অতিথিরা। কিন্তু আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় আর গোলের দেখা পায়নি। ম্যাচ শেষে চেলসি কোচ ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড বলেন, আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। অনেক জায়গায় এখনও ঘাটতি আছে। সেগুলো পূরণ করতে হবে। এমন পারফর্মেন্স করে শিরোপা রেসে টিকে থাকা কঠিন। আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। এদিকে আগের রাতে ম্যানচেস্টার সিটি ও টটেনহ্যাম হটস্পারের মধ্যকার হাইভোল্টেজ ম্যাচে সিটি কোচ গার্ডিওলার সঙ্গে সার্জিও এ্যাগুয়েরের বাদানুবাদ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে এ্যাগুয়েরোকে তুলে নেন গার্ডিওলা। ওই সময় এ্যাগুয়েরো টাচলাইনে পোঁছনোর পর থেকে বেঞ্চে বসতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত কোচ ও আর্জেন্টাইন ফুটবলারের মধ্যে ঝগড়া চলে প্রায় এক মিনিট। ঝামেলা এতটাই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছায় যে, গার্ডিওলার সহকারী মিকেল আর্টেটাকে এগিয়ে এসে দু’জনকে আলাদা করতে হয়। এ ঘটনা নিয়েই এখন চারদিকে গুঞ্জন, আসলে কি হয়েছে? এ্যাগুয়েরোকে তুলে নেয়ার দশ মিনিট আগে লুকাস মৌরার গোলে সমতা ফেরায় টটেনহ্যাম। এ্যাগুয়েরোর ধারণা, এই গোলের মুভমেন্টে কোথাও তার ভুল আছে। যে কারণে তাকে তুলে নিচ্ছিলেন কোচ। এ কারণে বের হয়ে যাওয়ার সময় এ্যাগুয়েরো বিরক্তি প্রকাশ করেন। ডাগআউটে ফেরার সময় গার্ডিওলার উদ্দেশে কিছু মন্তব্য করেন এ্যাগুয়েরো। যা শুনে মেজাজ হারান সিটি বসও। এ প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে গার্ডিওলা বলেন, এ্যাগুয়েরো মনে করেছিল, আমরা যে গোলটা হজম করেছি এজন্য আমি তার উপর অসন্তুষ্ট। গোলটা কর্নার থেকে হয়েছিল। আমি ওয়ান-অন-ওয়ান মুভমেন্ট চাই। সে ভেবেছিল তার কোন ভুল হয়েছিল। বিবাদ হলেও সম্পর্কে কোন চিড় ধরেনি জানিয়ে গার্ডিওলা বলেন, আমি অনেক সময় টাচলাইনে মেজাজ হারিয়ে ফেলি। হয়ত কখনও কোন ফুটবলারের ওপর বিরক্ত হয়ে পড়ি। আমি নিজে ফুটবলার ছিলাম বলে বুঝি পরিস্থিতিটা ওখানে ঠিক কী রকম থাকে। এই আবেগটা আমাদের খেলার একটা অংশ। আমি বিষয়টা নিয়ে পরে এ্যাগুয়েরোর সঙ্গে কথা বলেছি। সে এমন এক খেলোয়াড় যাকে আমি খুব ভালবাসি।
×