ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এফআর টাওয়ারের মালিক ফারুক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১০:০৫, ২০ আগস্ট ২০১৯

 এফআর টাওয়ারের মালিক ফারুক গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার রাজধানীর বনানীর এফআর (ফারুক-রূপায়ণ) টাওয়ারের নক্সা জালিয়াতির মামলায় ভবনের অন্যতম মালিক এসএমএইচআই ফারুককে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুপুর একটায় রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে দুর্নীতির মাধ্যমে পৌনে চার কোটি টাকার সম্পদ গড়ার অভিযোগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক এক প্রধান প্রকৌশলী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বিষয় দুটি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রবিবার একই মামলার আরেক আসামি ভবনটির অন্যতম মালিক ও কাসেম ড্রাইসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাসভীর-উল-ইসলামকে গ্রেফতার করে দুদক। গত ২৮ মার্চ এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২৭ জন নিহত হওয়ার পর ওই ভবন নির্মাণে নানা অনিয়মের বিষয় বেরিয়ে আসে। বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে ওই ভবনের জমির মূল মালিক ছিলেন প্রকৌশলী এসএমএইচআই ফারুক। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। নক্সা জালিয়াতির মাধ্যমে ভবনটিতে কয়েকটি তলা বাড়ানোর অভিযোগে গত ২৫ জুন তাসভীরসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক কর্মকর্তা মোঃ আবুবকর সিদ্দিক দুটি মামলা করেন। একটি মামলায় রাজউকের ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারকে ১৯তলা থেকে বাড়িয়ে ২৩তলা করা, ওপরের ফ্লোরগুলো বন্ধক দেয়া ও বিক্রি করার অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করা হয়। অপর মামলায় এফআর টাওয়ারের ১৫তলা পর্যন্ত নির্মাণের ক্ষেত্রে ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘন এবং নক্সা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮তলা পর্যন্ত বাড়ানোর অভিযোগ করা হয়। এদিকে দুর্নীতির মাধ্যমে পৌনে চার কোটি টাকার সম্পদ গড়ার অভিযোগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক এক প্রধান প্রকৌশলী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। সোমবার সংস্থাটির উপ-পরিচালক মোশারফ হোসেইন মৃধা বাদী হয়ে দুদকের ঢাকার ১ নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম রাজখানের স্ত্রী ফিরোজা খানমকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে বলা হয়, আসামি মফিজুল ইসলাম রাজখান চাকরিকালীন সময়ে তিন কোটি ৭০ লাখ ৬৪১ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করে তার স্ত্রীর নামে সম্পদ ক্রয় করেছেন, যা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ। এছাড়াও ৮৭ লাখ ৯১ হাজার ৪৬৯ টাকার সম্পদ গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
×