ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তীব্রতর হচ্ছে হংকংয়ের চলমান বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ২০ আগস্ট ২০১৯

 তীব্রতর হচ্ছে হংকংয়ের  চলমান বিক্ষোভ

হংকংয়ের বিক্ষোভ ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। কোন বাধাই লোকজনকে বিক্ষোভে যোগ দেয়া থেকে বিরত রাখতে পারছে না। ভারি বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করে লাখ লাখ মানুষ রবিবার বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। বিক্ষোভ দমনে ক্রমেই কঠোর হচ্ছে বেজিং সরকার। এর বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা হংকংয়ের রাস্তায় নেমে আসে। সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলা এ বিক্ষোভে অচল হয়ে পড়ে শহরটির কেন্দ্রস্থলের একটি অংশ। ইউএসএ টুডে। বিক্ষোভ যেমন বিশাল ছিল, ঠিক তেমনটাই শান্তিপূর্ণও ছিল। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটেনি। যদিও এর আগের বিক্ষোভ দমনে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে। বিক্ষোভ আয়োজনে সহায়তাকারী সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্ট ধারণা দেয় যে, বিক্ষোভে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছে। পুলিশ জানায়, বিক্ষোভে উপস্থিতি সম্পর্কে বিশাল ধারণা দেয়া হয়েছে। তবে বিক্ষোভে কত মানুষ অংশ নিয়েছে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা উল্লেখ করেনি পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লামের পদত্যাগ, বিক্ষোভকে দাঙ্গা বলে সরকার যে দাবি করছে সেটা প্রত্যাহার, শত শত বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ এবং পুলিশ ও সরকারী কর্মকর্তাদের আচরণ পর্যালোচনার জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন। এক বিবৃতিতে সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্ট জানায়, ‘সামনের সারির কর্মী থেকে শুরু করে নার্সিং হোমের প্রবীণরা, শহরের বাসিন্দা এবং হংকংয়ের নাগরিকরা পুলিশের বর্বরতার শিকার হয়েছে। পুলিশ আমাদের ছত্রভঙ্গ এবং গ্রেফতার করতে টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে।’ গ্রুপটি জানায়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সরকার ও পুলিশের আচরণে হংকংয়ের বাসিন্দারা খুবই ক্ষুব্ধ।হংকং সরকার জানায়, রবিবারের বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু এতে অংশগ্রহণকারীরা প্রধান প্রধান সড়কে অবস্থান নেয়ায় যান চলাচলে ব্যাপক সমস্যা দেখা দেয়া এবং জনগণের চরম ব্যাপক ভোগান্তি হয়েছে।গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হংকংয়ের চলমান অস্থিরতাকে ‘কঠিন পরিস্থিতি’ বলে অভিহিত করেন। তবে বিক্ষোভ মোকাবেলায় বেজিংয়ের পদক্ষেপের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকেন। প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এক শীর্ষ আইনপ্রণেতা বুধবার একটি দ্বিদলীয় বিবৃতি দেন। এতে বলা হয়, বেজিং যদি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করে তাহলে সর্বজনীন নিন্দা এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×