ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাশ্মীরে এ পর্যন্ত চার হাজারের ওপর আটক

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ২০ আগস্ট ২০১৯

 কাশ্মীরে এ পর্যন্ত  চার হাজারের  ওপর আটক

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার পর থেকে বিক্ষোভের আশঙ্কায় চার হাজারের বেশি মানুষকে বন্দী করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এএফপি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাশ্মীরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ভারতের জননিরাপত্তা আইনের (পিএসএ) দোহাই দিয়ে অন্তত চার হাজার মানুষকে বন্দী করেছে বিজেপি সরকার। জননিরাপত্তা আইন ভারতের একটি বিতর্কিত আইন, যার মাধ্যমে কোন অভিযোগ ছাড়াই যে কাউকে গ্রেফতার করে দুই বছরের জন্য বন্দী করে রাখতে পারবে কর্তৃপক্ষ।’ তিনি আরও বলেন, ‘অসংখ্য মানুষকে বন্দী করার জন্য কাশ্মীরের কারাগারগুলোতে যথেষ্ট জায়গা নেই। আর এ জন্য কাশ্মীরের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় বন্দী রাখা হয়েছে অনেক মানুষকে।’ এর আগে কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বিলোপের কয়েকদিনের মধ্যেই শতাধিক স্থানীয় রাজনীতিবিদ, কর্মী ও শিক্ষাবিদকে আটক করা হয়েছিল বলে জানানো হয়। তবে এর পর থেকে মোট কতজনকে বন্দী করে রাখা হয়েছে তা জানাতে বারবার অস্বীকার করছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, তিন দশক ধরে ভারতীয় বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ করা একটি অঞ্চলে অশান্তি এড়ানোর জন্য কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আটক হওয়ার পর অন্তত ছয় হাজার মানুষকে শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকায় মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে।’ ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রথমে তাদের শ্রীনগর কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছিল। পরে সামরিক উড়োজাহাজে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়।’ এদিকে শনিবার ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন কেন্দ্রসহ বারামুল্লা ও গুরেজের কনভেনশন কেন্দ্রকে অস্থায়ী বন্দীশালা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব বন্দীশালায় অন্তত ৫৬০ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে আটক রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। জম্মু-কাশ্মীর বিষয়ে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করার ঘোষণা দেয়ার আগে ৪ আগস্ট রবিবার গভীর রাতে কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহকে গৃহবন্দী করা হয়।
×