ভারতের হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড ও পাঞ্জাব রাজ্যে ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২২ জন নিখোঁজ রয়েছে। রবিবার দিনভর ভারি বৃষ্টিপাতের পর যমুনা ও ওই অঞ্চলের অন্যান্য নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই হওয়ায় দিল্লী, হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও কয়েকদিন ভারি বর্ষণ হবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাষে বলা হয়েছে। এনডিটিভি।
দক্ষিণ ভারতে কেরেলায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১২১ জনে দাঁড়িয়েছে। বন্যায় কর্নাটকে মৃতের সংখ্যা ৭৬ ছাড়িয়ে গেছে এবং আরও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। হিমাচল প্রদেশে বর্ষণজনিত কারণে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন নেপালী নাগরিকও রয়েছেন। পাশাপাশি আরও নয়জন আহত হয়েছেন। প্রবল বর্ষণে রাজ্যের কিছু এলাকায় বিদেশীসহ ২৫ পর্যটক দুইদিন খাবার ও আশ্রয়বিহীন অবস্থায় আটকা থাকার পর তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ভূমি ধসের ঘটনায় কয়েক শ’ পর্যটক ও স্থানীয় লোক আটকা পড়েন। ভূমি ধসের কারণে কালকা ও শিমলার মধ্যে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে, চন্ডিগড়-মানালি মহাসড়কে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যটির শিমলা, সোলান, কুল্লু ও বিলাসপুর জেলার সব স্কুল সোমবার বন্ধ রাখা হয়েছে। উত্তরাখন্ড রাজ্যে হঠাৎ প্রবল বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর তিনজন নিহত ও ২২ জন নিখোঁজ হয়। উত্তরকাশী জেলার মোরি ব্লক হড়কা বানে কয়েকটি গ্রামের কিছু বাড়ি ভেসে যায়। দেরাদুন জেলায় গাড়ি নদীতে পড়ে এক নারী ভেসে যান বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ভারি বৃষ্টিপাতের সময় পাঞ্জাবে বাড়ির ছাদ ধসে তিনজন নিহত হন। পাঞ্জাব ও প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানায় ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় কয়েকটি এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। রাজ্য দুটির কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।
