ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মির্জাপুরে ফতেপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দেড় বছর যাবত ডাক্তার নেই

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১৯ আগস্ট ২০১৯

মির্জাপুরে ফতেপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে  দেড় বছর যাবত ডাক্তার নেই

নিজস্ব সংবাদাদাতা, মির্জাপুর ॥ মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রায় দেড় বছর যাবত ডাক্তার আসেননা। এতে অত্র এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠি সরকারী স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি থেকে রোগীরা প্রয়োজনীয় ওষুধও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, ১৯৬০ সালে অত্র এলাকার দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ফতেপুর বাজারে চ্যারিটেবল ডিসপেনসারী নামে একটি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এই চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে অত্র এলাকার মানুষ বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ পেয়ে থাকতেন। স্বাধীনতার পর স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে সরকার ফতেপুর ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। নিয়ম অনুযায়ী উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রেটিতে একজন এমবিবিএস ডাক্তার একজন উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট এবং একজন এমএলএসএস কর্মরত থাকার কথা। কিন্তু এই উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে নিয়োগপ্রাপ্ত এমবিবিএস ডাক্তার শামীমা হোসেন প্রায় দের বছর যাবত আসেননা। এছাড়া এমএলএসএস পদটিও দীর্ঘদিন ধরে শুন্য রয়েছে। এই উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে এলাকার মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সুভাষ চন্দ্র তন্ত্রী ও ফার্মাস্টি ও আব্দুল কাদের। ফার্মাসিস্ট আব্দুল কাদেরকেও মাঝে মধ্যে ডেপুটেশনে নেয়া হয় বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। এদিকে দীর্ঘদিন ডাক্তার না আসায় জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা প্রায়ই ফিরে যাচ্ছে। এতে এলাকার মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফতেপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পদায়নকৃত ডাক্তার কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারেন না। ফতেপুর বাজারের ব্যবসায়ী ইব্রাহীম সিকদার বলেন, উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে ডাক্তার না থাকায় এলাকার দরিদ্র মানুষকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে বেশি টাকা খরচ করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. জয়নাল মিয়া বলেন, ফতেপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির এখন করুনদশা। কারণ এখানে দেড় বছরের বেশী সময় ধরে এমবিবিএস ডাক্তার আসেননা। যারা কর্মরত আছেন তাদেরও মাঝে মধ্যে অন্যত্র কাজ করানো হয়। এতে সরকারী স্বাস্থ্য সেবা এবং ওষুধ থেকে এলাকার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন বলে তিনি জানান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীম আহমেদ বলেন, আমি যোগদানের অনেক আগে সিভিল সার্জনের নির্দেশে ফতেপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত ডাক্তার শামীমা হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেষনে আনা হয়েছিল। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও তিনি নিয়মিত আসেননা বলে তিনি জানান।
×