ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় জমি দখলে মরিয়া প্রভাবশালী মহল

প্রকাশিত: ০৮:৩৮, ১৯ আগস্ট ২০১৯

 নওগাঁয় জমি  দখলে মরিয়া প্রভাবশালী মহল

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৮ আগস্ট ॥ মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের রেকর্ডভুক্ত এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় কাজে ব্যবহারের জন্য দেবস্থানের জমি জবরদখলে মরিয়া স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। মহলটি গ্রামের সংখ্যালঘুদের জমিতে লাগানো গাছপালা কেটে সাবাড় করেছে। এ সময় স্থানীয় হিন্দুরা বাধা দিলে তাদের মারপিট করে দেশ ছাড়ানোর হুমকি দিয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউএনও ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেও গ্রামের হিন্দুরা এর কোন সমাধান পাচ্ছেন না। আর এসব কিছুই ঘটছে স্থানীয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতাকর্মীর মদদে। এমন ঘটনায় গ্রামের সংখ্যালঘু হিন্দুদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা গেছে, মনোহরপুর মৌজার হাল ১২০ নং আরএস খতিয়ান মূলে ব্যক্তিমালিকানা সূত্রে ২৫০, ৩৫২, ৩৫৩, ৫৬৫, ৫৬৬ দাগের মধ্যে ৩৫২, ৩৫৩, ৫৬৫ ও ৫৬৬ নং দাগের মন্তব্য কলামে হিন্দু জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু ওই খতিয়ানের ২৫০ নং দাগটি গড়লায়েক পতিত এবং মন্তব্য কলাম ফাঁকা থাকায় রেকর্ড অনুসারে রেকর্ডীয় মালিকরা ফসল ফলান এবং কিছু গাছ রোপণ করেন। বর্তমানে ওই জমিতে ১ শতক জায়গার ওপর একটি শহীদ মিনার এবং ১ শতক জমিতে একটি দেবস্থান রয়েছে। সম্প্রতি হিন্দুদের তফসিলভুক্ত জমিতে স্থানীয় এলজিইডি প্রাচীর নির্মাণ শুরু করলে গ্রামের হিন্দুরা বাধা দেয়। এতে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে গাছ কেটে জবরদখলে মরিয়া বলে অভিযোগ গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের। এ ব্যাপারে ইউএনও অফিসে বসেও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান তারা। এ ব্যাপারে ভালাইন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আলী ম-ল বাবুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন সংখ্যালঘুর জমি জবরদখল করতে যাইনি। বিতর্কিত ওই জমি হিন্দুদের এটা সঠিক। শহীদ মিনার বা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে এলজিইডি। স্থানীয় ইউএনও ও এসি ল্যান্ডের দূরদর্শিতার অভাবে এমন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
×