ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জয় দিয়েই মৌসুম শুরু জিদান-রিয়ালের

প্রকাশিত: ২২:২৩, ১৮ আগস্ট ২০১৯

জয় দিয়েই মৌসুম শুরু জিদান-রিয়ালের

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রথম ম্যাচে হেরে গেলো বার্সেলোনা। অ্যাটলেটিকো বিলবাওয়ের কাছে হেরে বার্সা যখন বেদনায় জর্জরিত, তখন রিয়ালে উড়ছে জয়ের সুবাতাস। সেল্টা ভিগোর মাঠে গিয়ে তারা জিতে এসেছে ৩-১ গোলের ব্যবানে। আগের মৌসুমে সবচেয়ে খারাপ সময় কাটানোর পর জিদানকে ফিরিয়ে এনে রিয়াল চেয়েছিল এমন স্বস্তির একটা শুরুর। অবশেষে, সেই ছন্দ দিয়েই স্প্যানিশ লা লিগার মৌসুম শুরু করতে পারলো জিদান এবং রিয়াল মাদ্রিদ। মৌসুমের প্রথম ম্যাচটাই ছিল অ্যাওয়ে। প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে খেলতে হয়েছিল লজ ব্লাঙ্কোজদের। তারওপর, ইনজুরির কারণে নতুন আসা ইডেন হ্যাজার্ড মাঠে নামতে পারেননি। কিন্তু জিদান একজনের ওপর নির্ভর করেন না। পুরো দলটাকেই একসঙ্গে খেলাতে পারেন। যার ফলই দেখা যাচ্ছে ম্যাচ শেষের স্কোরে। স্বাগতিকদের তারা হারিয়েছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। প্রথমার্ধে করিম বেনজেমা দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে টনি ক্রুস ও লুকাস ভাসকুয়েজের গোলে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। ম্যাচের একেবারে অন্তিম সময়ে (৯০ +১ মিনিটে) একটি গোল করে ব্যবধান কমিয়েছিলেন সেল্টা ভিগোর ইকার লোসাদা। তবে জিতলেও রিয়ালের জন্য বড় দুঃসংবাদও আছে এই ম্যাচে। কারণ, ৫৬তম মিনিটে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাছ ছাড়তে হয়েছিল রিয়ালের ব্যালন ডি’অর জয়ী লুকা মদ্রিচকে। তাকে ছাড়া, ১০জনের দল নিয়ে আধা ঘণ্টারও বেশি খেলতে হয়েছে মাদ্রিদিস্তাদের। এস্টাডিও ভ্যালাইদসে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেন জিদানের শিষ্যরা। ১২ মিনিটেই দুর্দান্ত এক খেল দেখান গ্যারেথ বেল। বাঁ-দিক তার নিচু ক্রসে বল স্লাইড করে প্রতিপক্ষের জালে পাঠান করিম বেনজেমা। ৩৫ মিনিটে মদ্রিচের আড়াআড়ি শট ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন সেল্টার গোলরক্ষক রুবেন ব্লানকো। ৪৪ মিনিটে ঝাঁপিয়ে পড়ে বেলের বুলেট গতির শটও বাঁচিয়ে দেন সেল্টার গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে সমতায় ফিরতে পারতো সেল্টা ভিগো। তবে তাদের দুর্ভাগ্য। ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে অফ-সাইডের জন্য সেল্টার গোল বাতিল করে দেন রেফারি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সেল্টা ফরোয়ার্ড আসপাসের শট কোনোমতে আটকে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবাত কুর্তোয়া। প্রথমার্ধের শেষে ভিএআরের জন্য গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে সেই ভিএআর প্রযুক্তি পক্ষে যায় সেল্টার। ভিএআরের সাহায্য নিয়েই মদ্রিচকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ডেনিস সুয়ারেজের পায়ে পিছন থেকে লাথি মারেন রিয়ালের এই মিড ফিল্ডার। লা লিগায় এই প্রথম লাল কার্ড দেখলেন তিনি। তবে লাভ হয়নি সেল্টার। রিয়ালকে ১০ জনের দল হিসেবে পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। উল্টো ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় রিয়াল। ৬১ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দেন রিয়ালের জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুস। ৮০ মিনিটে করিম বেনজেমার কাছ থেকে বল পেয়ে রিয়ালের হয়ে ব্যবধান বাড়ান পরিবর্তিত হিসেবে সদ্যই মাঠে নামা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড লুকাস ভাসকুয়েজ। ৯০ মিনিটে ব্যবধান কমায় সেল্টা। প্রতি আক্রমণ থেকে বল নিয়ে রিয়ালে জালে জড়াতে সক্ষম হন ইকার লোসাদা। তবে জয় আটকায়নি রিয়ালের। জিদানের কোচিংয়ে তারা ফেরে স্বমহিমায়। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পাঁচদিন পর রিয়াল ছেড়ে ছিলেন জিদান; কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে বেহাল দশা হয় রিয়ালের। ফলে চলতি বছর মার্চে ফের জিদানের হাতেই প্রধান কোচের দায়িত্ব তুলে দেয় রিয়াল কর্তৃপক্ষ। এবার রিয়ালের অধীনে স্বপ্নের সূচনায় কতদুর যেতে পারে রিয়াল, সেটাই দেখার।
×