ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সেমিতে বার্টি, চোটের কবলে ওসাকা

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ১৮ আগস্ট ২০১৯

সেমিতে বার্টি, চোটের কবলে ওসাকা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সিনসিনাটি মাস্টার্সের শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছেন এ্যাশলে বার্টি। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে শুক্রবার তিনি ৫-৭, ৬-২ এবং ৬-১ গেমে পরাজিত করেন মারিয়া সাক্কারিকে। গ্রিসের তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড় সাক্কারিকে হারাতে এদিন তার সময় লাগে ১০৫ মিনিট। মারিয়া সাক্কারির বিপক্ষে এ্যাশলে বার্টির এটা ছিল চতুর্থবারের মতো মুখোমুখি লড়াই। এদিন গ্রীক তারকাকে হারিয়ে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন বার্টি। তবে শেষ আটের ম্যাচে প্রথম সেটেই হেরে যান ফ্রেঞ্চ ওপেনের চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু পরের দুই সেটেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। যার ফলে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেন বার্টি। ম্যাচের শেষে অস্ট্রেলিয়ান তারকা বলেন, ‘ম্যাচের শুরুটা আমি ভালভাবেই করেছিলাম। কিন্তু এক পর্যায়ে ছিটকে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হাল ছাড়িনি কখনই। তাছাড়া মারিয়া সাক্কারি কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে ফেলে। যার মাসুল গুনতে হয় তাকে।’ মৌসুমের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট ফ্রেঞ্চ ওপেনেই বাজিমাত করেন বার্টি। দুর্দান্ত খেলে ক্যারিয়ারের প্রথম মেজর শিরোপা জয়ের স্বাদ পান তিনি। রোঁলা গ্যাঁরোর শিরোপা জয়ের সৌজন্যে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটাও দখল করে নেন অস্ট্রেলিয়ান টেনিসের এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়। কিন্তু সিনসিনাটি মাস্টার্সের আগের টুর্নামেন্ট রজার্স কাপে ব্যর্থ হন তিনি। সেই টুর্নামেন্টের প্রথমপর্ব থেকেই বিদায় নেন বার্টি সোফিয়া কেনিনের কাছে হেরে। যার ফলে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটাও হারাতে হয় ফ্রেঞ্চ ওপেনের চ্যাম্পিয়নকে। তবে সিনসিনাটি মাস্টার্সে ঠিকই চমকপ্রদ পারফর্মেন্স উপহার দিচ্ছেন এ্যাশলে বার্টি। মারিয়া সাক্কারির কাছে প্রথম সেট হারের পর তিনি দ্বিতীয় সেটেই ঘুরে দাঁড়ান দোর্দ- প্রতাপে। এ প্রসঙ্গে ম্যাচের শেষে বার্টি বলেন, ‘প্রথম সেটে যেহেতু হেরে যাই। আমার কাছে দ্বিতীয় সেটটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে মৌলিক খেলাটা খেলার চেষ্টা করি আমি। সার্ভ খুব ভাল করি এবং প্রতিপক্ষকে মোটেও সুযোগ দেইনি। ম্যাচের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবধরনের চেষ্টাই করেছি আমি। শেষ পর্যন্ত তার ফলও পেয়েছি। এই জয়ে আমি খুব খুশি।’ ফাইনালে উঠার পথে এ্যাশলে বার্টির প্রতিপক্ষ এখন সভেতলনা কুজনেতসোভা। শেষ আটে রাশিয়ান তারকা দুর্দান্ত খেলে পরাজিত করেন চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা পিসকোভাকে। ৩-৬, ৭-৬ (৭/২) এবং ৬-৩ গেমের কঠিন লড়াইয়ে। এই হারে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে ফেরার যে সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছিল পিসকোভার তা নিভে গেল। তবে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠার সম্ভাবনা আবারও উজ্জ্বল হলো এ্যাশলে বার্টির। অস্ট্রেলিয়ান তারকা অবশ্য সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে বার্টির সহজ জবাব, ‘এখানে প্রথমবার সেমিফাইনালে খেলছি আমি। তাই র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান নিয়ে মোটেও ভাবছি না। বরং আমি যদি ম্যাচ জিততে থাকি তাহলে র‌্যাঙ্কিং অটোমেটিক্যালি আমার দিকে আসবে।’ এ্যাশলে বার্টির শীর্ষে ওঠার সম্ভাবনাটা উজ্জ্বল করেছে নাওমি ওসাকার ইনজুরি। মাত্র কয়েকদিন আগেই র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর স্থানটি পুনরুদ্ধার করেন জাপানের এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়। সিনসিনাটি মাস্টার্সেও খেলছিলেন বেশ। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালেই তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াল ইনজুরি। এই আসরের শেষ আটে শুক্রবার সোফিয়া কেনিনের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথম সেটেই কেনিনের কাছে ৬-৪ গেমে হেরে যান ওসাকা। তবে দ্বিতীয় সেট ৬-১ গেমে জিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের নাম্বার ওয়ান ওসাকা। কিন্তু তৃতীয় সেটে সোফিয়া কেনিন ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পরই বাঁ হাঁটুর চোটের কারণে ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন দুটি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। আর তাতেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায় সোফিয়া কেনিনের। আগামী সপ্তাহেই শুরু হবে ইউএস ওপেন। এই টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওসাকা। গত মৌসুমে ইউএস ওপেন জিতেই বিশ্ব টেনিসের পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগে এবার ইনজুরি দারুণ এক ধাক্কা দিল নাওমি ওসাকাকে।
×