ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ক্ষতিগ্রস্ত ঝিলপাড়বাসীদের সহায়তা দেবে সিটি কর্পোরেশন

প্রকাশিত: ১১:৪২, ১৮ আগস্ট ২০১৯

ক্ষতিগ্রস্ত ঝিলপাড়বাসীদের সহায়তা দেবে সিটি কর্পোরেশন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মিরপুর-৭ নম্বর সেকশনের ঝিলপাড় বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সব হারিয়ে পথে বসেছে হাজার হাজার বস্তিবাসী। তাই আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ও আহতদের সমস্ত চিকিৎসাব্যয় বহন করাসহ সিটি কর্পোরেশন সব ধরনের সহযোগিতা চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। একই সঙ্গে স্থানীয়রা যত দ্রুত সম্ভব তাদের ঘর করে দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শনিবার বিকেলে মিরপুরের-৭ নম্বর সেকশনের ঝিলপাড় চলন্তিকা মোড় সংলগ্ন বস্তিতে সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে মেয়র একথা বলেন। মেয়র বলেন, এই মুহূর্তে যারা আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন বা যারা এখানে আছেন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসার সব খরচ সিটি কর্পোরেশন বহন করবে। এছাড়া আগুন কীভাবে লাগল তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। আমার মনে হয়, বস্তিতে যারা থাকেন তাদের জন্য ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা জায়গা দিয়েছেন বাউনিয়া বাঁধে। এটি একটি ভাল উদ্যোগ। সেখানে ইতোমধ্যে পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়ে গেছে। আতিকুল ইসলাম বলেন, যাদের স্থায়ী নিবাস বস্তিবাসী হিসেবে তারাই সেখানে পর্যায়ক্রমে চলে যেতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীও বস্তিবাসীদের জন্য স্থায়ী বাসস্থান করে দিতে চান। বাউনিয়া বাঁধে কাজ শুরু হয়ে গেছে। ওখানে ১০ হাজার বস্তিবাসীর জায়গা হবে। মেয়র বলেন, এই মুহূর্তে যাদের খাদ্যের প্রয়োজন আমরা তার ব্যবস্থা করছি। এটা অব্যাহত থাকবে। এই বস্তিতে যারা থাকেন, তারা কিন্তু ভাড়ায় থাকেন। অর্থাৎ যারা স্থানীয় আছেন তারা ঘরবাড়ি উঠিয়ে ভাড়া দেন। আমরা কথা বলেছি শীঘ্রই এখানে ঘর নির্মাণ করে দেবেন। মেয়র বলেন, যদি কোন ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হয় আমরা অবশ্যই তা দেব। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছি। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছি। আহতদের চিকিৎসার সব খরচ সিটি কর্পোরেশন বহন করবে। এই মুহূর্তে কাজ হলো প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া। মেয়র বলেন, বস্তিতে যাদের ঘর পুড়েছে তারা যেন থাকতে পারে সেজন্য ৫-৬টি স্কুলে তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা বাসাবাড়িতে না যেতে পারেন ততক্ষণ স্কুলেই থাকবেন। অবশ্য স্কুল খোলার আগেই তাদের থাকার ব্যবস্থা করবে। এখানে যদি আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন হয় আমরা অবশ্যই করব। বস্তিবাসীদের আট মাসের আল্টিমেটামে ওই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার কথা হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এমন কোন তথ্যও আমার কাছে নেই। মেয়র বলেন, আপাতত ৫-৬টি স্কুলে ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যতদিন ঘর তোলা না হবে, ততদিন স্কুলগুলোতেই তাদের থাকতে দেয়া হবে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা দেবে সিটি কর্পোরেশন। ইতোমধ্যে জরুরী কিছু সেবা যেমন বিশুদ্ধ পানি, প্রাথমিক চিকিৎসা, খাবার ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা করেছে সিটি কর্পোরেশন। তাদের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা চালিয়ে যাবে সিটি কর্পোরেশন। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটের দিকে মিরপুরের চলন্তিকা মোড় সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তিতে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে ২৪টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় রাত সাড়ে ১০টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। তবে রাত দেড়টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
×