নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ১৭ আগস্ট ॥ পটুয়াখালী নদীবন্দরের লঞ্চঘাট পন্টুন আবারও হকারদের দখলে চলে গেছে। এতে পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের লঞ্চঘাটে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। পন্টুনগুলো স্বাভাবিকের ছেয়ে ছোট হওয়ায় যাত্রীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে হকারদের উচ্ছেদ করলেও গত কয়েকদিন যাবত পন্টুনে আবারও হকাররা বসতে শুরু করেছে। তবে সব কিছু দেখেও যেন না দেখার ভান করছে বিআইডব্লিউটিএ। পটুয়াখালী লঞ্চঘাট থেকে ঈদের সময় প্রতিদিন ৫ থেকে ৮টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ সময় প্রতিটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেখা যায়। এই বাড়তি চাপের পরও পন্টুনের অনেকটা অংশ দখল করে হকাররা রুটি, কলা, পানিসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করার ফলে জায়গা আরও কমে যাচ্ছে। পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে ঢাকায় যাওয়া যাত্রীরা জানান, ঢাকার লঞ্চঘাটে কোন হকার না থাকলেও পটুয়াখালীর ঘাটে ঠিক উল্টো চিত্র। পটুয়াখালী নদীবন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান জানান, হকারদের উচ্ছেদে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। এদিকে লঞ্চঘাটের একাধিক সূত্রে জানা যায়, লঞ্চঘাট ইজারাদার ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গোপন আঁতাতের মাধ্যমে হকারদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে লঞ্চঘাট পন্টুনে হকারদের বসার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।
ফটিকছড়িতে অস্ত্রের মুখে ২ ব্যক্তি অপহৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ১৭ আগস্ট ॥ উপজেলার পূর্বাঞ্চলীয় ইউনিয়ন খিরামে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে ২ ব্যক্তিকে অপহরণ করেছে। অপহৃতরা হচ্ছেনÑ শাহাজাহান (৩০), পিতা নুরুল আলম, গ্রাম প্রেমপুর ও মুহাম্মদ জোবায়ের (১৮) পিতা মুহাম্মদ আবচার, গ্রাম বহরমপাড়া, খিরাম, ফটিকছড়ি। জানা যায়, ওইদিন সন্ধ্যায় কতিপয় যুবক শাহাজাহানকে প্রেমপুর ও জোবায়েরকে বহরমপাড়া থেকে অস্ত্রের মুখে সিএনজি অটোরিক্সায় করে উত্তর খিরামের পাহাড়ী অঞ্চলে নিয়ে যায়। পরে দুর্বৃত্তরা চরম শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে জোবায়েরকে মধ্যরাতের দিকে ছেড়ে দিলেও শাহাজাহানকে এখনও গুম করে রাখে।