ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইলহান ও রাশিদার ইসরাইলে ঢুকতে বারণ যে কারণে-

প্রকাশিত: ০৯:১২, ১৮ আগস্ট ২০১৯

ইলহান ও রাশিদার ইসরাইলে ঢুকতে বারণ যে কারণে-

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন কংগ্রেসের দুই নারী সদস্য ইলহান ওমর ও রাশিদা তালিবের তেলআবিব সফর নিষিদ্ধ করেছেন। ইলহান ওমর ও রাশিদা তালিব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরসহ কয়েকটি জায়গায় সফরের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তাদের পরিকল্পনায় বাদ সাধেন নেতানিয়াহু। ইউএসএ টুডে। টুইটারে নেতানিয়াহু বলেন, দুই আইনপ্রণেতা একটি প্রচারের পরিকল্পনা করছেন, যাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বয়কট শক্তিশালী করা এবং ইসরাইলের আইনগত অধিকারের বিরুদ্ধে কাজ করা। এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় উৎসাহ দেন। বৃহস্পতিবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু টুইটারে বলেন, কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর ও তালিব মার্কিন কংগ্রেসে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বয়কট জোরদারে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী। তিনি আরও লেখেন, মাত্র কয়েকদিন আগে তাদের সফরের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পারি আমরা। আর এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, তাদের প্রচারের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বয়কট জোরদার করা এবং ইসরাইলের আইনগত অধিকারের বিরুদ্ধে কাজ করা। নেতানিয়াহু উল্লেখ করেন যে, সকল পর্যটককে স্বাগত জানায় ইসরাইল, শুধু একটি মাত্র ব্যতিক্রম ছাড়া। আর সেটি হলো যেসব বিদেশী নাগরিক প্রকাশ্যে ইসরাইলকে বয়কটের আন্দোলন সমর্থন করেন তাদের তেলআবিবে ঢুকতে না দেয়া। ইসরাইলে ২০১৭ সালে পাস হওয়া একটি আইনে এ বিষয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর ও রাশিদা তালিব পশ্চিম তীর থেকে দখলদারিত্ব অবসানে ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য প্রকাশ্যে ‘বয়কট, পরিহার ও নিষেধাজ্ঞা’ আন্দোলনের সমর্থন করেছেন। এই আন্দোলন বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট এ্যান্ড স্যাঙ্কসনস বা বিডিএস নামেও পরিচিত। সিনেটর বার্নি স্যান্ডারস এক টুইটে বলেন, নেতানিয়াহুর নীতির বিরোধী করা মানেই ইহুদী লোকজনকে ঘৃণা করা নয়। তিনি রাশিদা তালিব ও ইলহান ওমরকে ইসরাইলে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানান। অন্যদিকে, আন্দোলনের বিরোধী পক্ষ বিডিএসকে সরাসরি ইসরাইলের বিরোধিতা হিসেবে দেখেন। ইসরাইলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রেডম্যান বলেন, এটা ‘বাকস্বাধীনতা নয়’ এবং ইসরাইল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’।
×