ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রোবট দেবী

প্রকাশিত: ১০:৩০, ১৭ আগস্ট ২০১৯

 রোবট দেবী

জাপানে কয়েকশ বছরের পুরনো একটি মন্দিরে ভক্তদের সামনে বুদ্ধের দর্শন বলে চলেছে এক রোবট। আশীর্বাদ দেয়ার ভঙ্গিতে দুই হাত উপরে তুলছে; কখনও দুই হাত প্রার্থনার মতো জোড় করে রাখছে। ক্যানন দেবীর আদলে গড়া এ্যান্ড্রয়েড রোবটটির সামনে ভক্তি জানাতে যেমন ভিড় জমছে; তেমনি মন্দিরে রোবট স্থাপনে সমালোচনারও কমতি নেই। জাপানে অনেক বৌদ্ধ মন্দিরই ক্যানন দেবীর অর্চনার জন্য নিবেদিত। কিয়োটো শহরে চারশ বছরের পুরনো কোদাইজি মন্দিরটিও তাই। এ বছরের গোড়া থেকে এই মন্দিরে ভক্তদের সামনে হাজির হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট ‘মিন্দার’, যা ‘ক্ষমার দেবী’ ক্যাননেরই এ্যান্ড্রয়েড রূপান্তর। মন্দিরে আগত ভক্তদের উদ্দেশে মোলায়েম কণ্ঠে রোবটটি বলে চলে, ‘তুমি আত্মসর্বস্ব অহমিকার বেড়াজালে আটকে আছো। এসব পার্থিব বাসনা সমুদ্রের অতলে তলিয়ে যাওয়া মন ছাড়া আর কিছুই না।’ মন্দিরের পুরোহিত ভূমিকা নেয়া রোবটটি কাঁধ, মাথা, হাত নাড়াতে পারে। মানুষের গায়ের চামড়ার মতো দেখাতে রোবটটির হাত, মুখ, বাহু সিলিকনে মুড়ে দেয়া হয়েছে। রোবটের বাম চোখে বসানো হয়েছে একটি ক্ষুদ্র ভিডিও ক্যামেরা। জেন টেম্পল এবং ওসাকা ইউনিভার্সিটির রোবটিক্সের অধ্যাপক হিরোশি ইশিগুরোর মিলিত প্রচেষ্টায় ১০ লাখ ডলার খরচে অবয়ব পেয়েছে মিন্দার। ভক্তদের সামনে দেবী মূর্তির বদলে রোবট উপস্থাপন নিয়ে মন্দিরের পুরোহিত তেনশো গোতো বলেন, রোবটের সৌন্দর্য তো এটাই; এর জ্ঞান ধারণের ক্ষমতা অসীম ও আজীবন। জাপানের হাজারো মন্দিরে অর্ঘ্য পাওয়া দেবী ক্যানন ৩৩ রূপে আবির্ভূত হতে পারেন বলে বিশ্বাস করেন ভক্তরা। দেবীর কোন কোন রূপে রয়েছে এক হাজার হাত আর ১১টি শির। জাপানে কোন কোন মন্দিরে দেবীর মূর্তি গড়া হয় পদ্মফুল হাতে, অন্য হাতের আঙুল থাকে ধ্রুপদী ভঙ্গিমায় ভাঁজ করা, যার অর্থ ভয়হীন। কোনো কোনো মন্দিরে ক্যানন আসীন হন পদ্মফুলে আর দেবীর মাথা থাকে ঘোড়ার। ক্ষমার দেবী ক্যানন অসুস্থতা থেকে রক্ষা করেন বলে জাপানীরা বিশ্বাস করেন। আবার ক্যানন দেবী প্রাণীদের রক্ষকও বলে মানেন তারা। সূত্র : জাপান টাইমস
×