ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মানবিকতার আখ্যান নৈবেদ্য থিয়েটারের ‘চন্দ্রবিন্দু’

প্রকাশিত: ১০:০০, ১৭ আগস্ট ২০১৯

 মানবিকতার আখ্যান নৈবেদ্য  থিয়েটারের ‘চন্দ্রবিন্দু’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধর্মে বা বর্ণের বিচারে নয়, মানুষকে পরিমাপ করতে হয় মানবিকতায়। জাতি কিংবা জন্ম পরিচয় ছাপিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে প্রতিটি মানুষের মানবিক অধিকার। এমন মর্মবাণীকে ধারণ করে নির্মিত নাটক চন্দ্রবিন্দু। নৈবেদ্য থিয়েটারের তৃতীয় প্রযোজনাটির ১৭তম মঞ্চায়ন হলো শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে। সালাহ্উদদীন আহমেদ মিলটন রচিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন তরুণ নির্দেশক রাজীব রেজা। প্রযোজনাটি প্রসঙ্গে নির্দেশক রাজীব রেজা বলেন, স্বপ্ন দেখা আমার নেশা এবং সেই স্বপ্নগুলোকে সাজাই ভিন্ন ভিন্ন রূপে। সেই রূপায়ণে যে আমাকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করে সে হলো থিয়েটার। নাটকের মাধ্যমেই অমানবিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে মানুষের অধিকার আদায়ের স্বপ্ন দেখি। গাইতে চাই মানবতার জয়গান। সেই রকম ভাবনার প্রতিফলন এরকম একটি গল্প ও তার প্রয়োগ। কেমন গল্প বা কেমন তার প্রয়াগ সে বিচারের ভার দর্শকদের হাতে। দর্শকদের দেবতা সম্বোধন করে যে কাজ করেছি, তা কেবল দেবতারা তুষ্ট হলেই এর সার্থকতা। এ নৈবেদ্য সাজিয়েছি নিজের সবকিছু দিয়ে। এর সঙ্গে যারা যুক্ত আছে সকল সফলতাই তাদের, ত্রুটি ও অপূর্ণতাটুকু শুধু আমার। সবার ওপরে মানুষ- এই বিষয়কে ঘিরেই ‘চন্দ্রবিন্দু’ নাটকের কাহিনী গড়ে উঠেছে। জাতি-ধর্ম বা জন্ম পরিচয় দিয়ে মানুষ বিবেচ্য নয়, সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক মানুষ হিসেবে। মহাভারতের কর্ণ বা একলব্যকে যুগে যুগেই দেখা যায়, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ চলে এখনও। আর চন্দ্রবিন্দু? সে বর্ণমালার এমন এক অংশ যে কখনও একা পূর্ণাঙ্গ নয়, নিজেকে প্রকাশ করতে প্রয়োজন অন্যের সহযোগিতা, তেমনই মানুষ, আর তাই তো সংসার। তবে সবাই কি তার কাক্সিক্ষত অবলম্বনটা পায়? আর পেলেও বা তা কতটুকু অর্থবহ হয়ে ওঠে- এমন প্রশ্ন ও তার জবাব খোঁজা হয়েছে নাটকে। বর্তমান সময় থেকে অনেকটা পেছনে গিয়ে চন্দ্র রাজ্যকে পটভূমি করে চন্দ্রবিন্দু নামক চরিত্রসহ কিছু চরিত্রের মধ্যদিয়ে কালে কালে চলে আসা প্রেম, আকাক্সক্ষা, মানুষ ও মানবতার যুদ্ধকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই নাটকের আশ্রয়ে। নাটকে চন্দ্রবিন্দু চরিত্রে রূপ দিয়েছেন বিবি কানিজ। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিরাজুল হক, রাইমা, মৃণাল চৌধুরী, রাজীব রেজা ও ইমরুল আল হাসান প্রমুখ।
×