ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বেতুয়া লঞ্চঘাটের পন্টুন পানির নিচে ॥ যাত্রী দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ১৭ আগস্ট ২০১৯

 বেতুয়া লঞ্চঘাটের  পন্টুন পানির  নিচে ॥ যাত্রী দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, চরফ্যাশন, ভোলা, ১৬ আগস্ট ॥ চরফ্যাশনে বেতুয়া লঞ্চঘাটের পন্টুনটি দীর্ঘদিন যাবত ভেঙ্গে এবং পানিতে ডুবে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে চরফ্যাশন-ঢাকাগামী হাজার হাজার যাত্রী। বিআইডব্লিউটিএর খামখেয়ালিপনায় ও নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ যাত্রীরা। জানা যায়, উপজেলার বেতুয়া লঞ্চঘাটের পন্টুনটি দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের লঞ্চে ওঠানামার একমাত্র পন্টুনটি ভেঙ্গে মেঘনা নদীতে ডুবে রয়েছে। ঈদ-উল-আজহায় হাজার হাজার ঘরমুখী ও ঢাকার যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ভোলা-বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি পড়েনি বেতুয়া লঞ্চঘাটের দিকে। বর্ষায় কাদামাটি ও পন্টুন না থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত লঞ্চঘাটে নতুন পন্টুন ও ব্রিজটি মেরামতের দাবি করেন ভুক্তভোগীরা। শুক্রবার বিকেল ৩টায় বেতুয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও জোয়ারে প্রবল স্রোত এবং ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পন্টুনটি ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে অর্ধডুবন্ত অবস্থায় পড়ে আছে। লঞ্চ যাতায়াতের সময় পন্টুনের পাশেই ব্লকের ওপর দিয়ে খুব ঝুঁকি নিয়ে বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানিতে ভিজে যাত্রীদের চলাচল করতে হয়। এ বিষয়ে ঘাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ বলেন ফারহান, কর্ণফুলি ও তাসফির ৩টি লঞ্চ দৈনিক যাতায়াত করছে। লঞ্চের জন্য জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষের নিয়ম শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকান্ড, অব্যবস্থাপনা এবং ঝড়তুফানের জন্যও পন্টুনটি ভেঙ্গে গেছে। কিছুদিন পরপর পন্টুনটি ভেঙ্গে যাওয়ায় যাত্রীসাধারণের চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। এলাকার জনসাধারণ স্থায়ী একটি লঞ্চঘাটের দাবি করেন।
×