ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ব্ল্যাক কুইন তরমুজ চাষে লাভবান আল আমিন

প্রকাশিত: ০৮:৫১, ১৭ আগস্ট ২০১৯

ব্ল্যাক কুইন তরমুজ  চাষে লাভবান আল আমিন

নওগাঁয় এই প্রথম মাচায় ব্ল্যাক কুইন জাতের বারোমাসি তরমুজ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে আল আমিন এগ্রো নামে একটি ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান। স্বাদ, রং ও উৎকৃষ্টমানের হওয়ায় বাজারে চাহিদাও রয়েছে অধিক। সারা বছর পাওয়া যাবে এখানকার তরমুজ। শুধু তাই নয়, এখানে বেশকিছু শ্রমিকের কর্মসংস্থানও হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, নওগাঁ খরা ও বরেন্দ্র জেলা হওয়ায় পানি সাশ্রয়ের জন্য এই তরমুজ চাষ শুরু হয়েছে। এটি জেলায় প্রথম নতুন জাতের তরমুজ চাষ। আর তাই সফল হয়েছে আল আমিন এগ্রো। নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী মহল্লার জেলখানার পূর্ব দেয়াল ঘেঁষে দুই বিঘা জমি তিন বছরের জন্য লিজ নিয়ে হাইব্রিড ব্ল্যাক কুইন জাতের তরমুজ চাষ শুরু করেছে কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আল আমিন এগ্রো। এটি ঢাকার গাজীপুরে অবস্থিত। নওগাঁ জেলায় প্রথম এই তরমুজ চাষ হয়েছে। নওগাঁ বরেন্দ্র অঞ্চল। ভারত থেকে বীজ এনে চলতি বছর দুই বিঘা জমি তিন বছরের জন্য লিজ নেয় মাত্র ৪৫ হাজার টাকায়। ওই জমিতে মাচা তৈরি করে এপ্রিল মাসে সেখানে ব্ল্যাক কুইন নামে বারোমাসি তরমুজের চারা রোপণ করা হয়। রোপণের পর চলতি মাসে প্রথম তরমুজ তোলা হয়। প্রতিটি তরমুজের ওজন হয় আড়াই থেকে চার কেজি। তরমুজের বাইরের অংশ কুচকুচে কালো হলেও ভেতরে টকটকে লাল ও মিষ্টি। প্রথমবার প্রায় দেড় শ’ মণ তরমুজ উৎপাদিত হয়। প্রতি কেজি তরমুজ কিনছেন ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে। তবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। আল আমিন এগ্রোর ম্যানেজার আজিজুর রহমান বলেন, চারা ক্রয়, পরিচর্যা, মাচা তৈরি, কর্মচারীদের বেতনসহ মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দুই মাসে তরমুজ চাষ করে প্রায় তিন লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব। এতে বেকার সমস্যা দূর হবে এবং দেশও আর্থিকভাবে লাভবান হবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আহসান শহীদ সরকার বলেন, খরা ও বরেন্দ্র জেলা হওয়ায় পানি সাশ্রয়ের জন্য এই তরমুজ চাষ শুরু করা হয়েছে এখানে। -বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ থেকে
×