ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘মৃতের আত্মহত্যা’ নাটকের প্রিমিয়ার শো

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ১৬ আগস্ট ২০১৯

‘মৃতের আত্মহত্যা’ নাটকের প্রিমিয়ার শো

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বাঙালী জাতি ও বাংলাদেশের জন্য রক্তে রঞ্জিত সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডির দিন ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ক্ষত-বিক্ষত হয় বাঙালীর হৃদয়। খানখান ভগ্ন হৃদয়ের রক্তক্ষরণে সমগ্র জাতি মৃত মানুষের মতো নীরব, নিস্তব্ধ, নিস্তেজ ও শক্তি হারিয়ে নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন আবুল ফজল তাঁর অপূর্ব সৃষ্টি ‘মৃতের আত্মহত্যা’ গল্পের মূল চরিত্র সোহেলীর মধ্য দিয়ে। এটা ইতিহাসের বর্ণনানির্ভর কোন গল্প নয়। তবে ইতিহাসের মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির পরিণতিতে দগ্ধ, পীড়িত ও ক্ষুব্ধ হওয়া একজন নারীর করুণ বিয়োগান্তক ঘটনার হৃদয়ফাঁটা চিত্রায়ন। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তার মধ্য থেকে বিদেশে পালিয়ে থাকা একজন খুনীর স্ত্রী, গল্পের নায়িকা সোহেলীর চরিত্রের মধ্য দিয়ে সমগ্র বাঙালী জাতির দগ্ধ প্রাণের পরিস্ফুটন ঘটিয়েছেন আবুল ফজল। এ বছর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা নিবেদনকল্পে একুশে টেলিভিশনের নিজস্ব প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে বিশেষ নাটক ‘মৃতের আত্মহত্যা’। এ উপলক্ষে গত ১০ আগস্ট, শনিবার সকাল ১১টায় একুশে টেলিভিশন ভবনে নাটকটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই শেখ কবির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া। ‘মৃতের আত্মহত্যা’ নাটকটির গল্পের মূল চরিত্রের নাম সোহেলী। সে এমন একজন লোকের স্ত্রী যে ১৫ আগস্টের কালো অধ্যায়ের অন্যতম নিষ্ঠুর হত্যাকারী, নাম ইউনুস। সোহেলী দশ বছরের একমাত্র ছেলে বকুলকে নিয়ে স্বামী ইউনুসের সঙ্গে বিদেশে নির্জন মরুভূমিতে পলাতক জীবনযাপন করছে। এই হত্যাকারীদের আরেক নিষ্ঠুর ঘাতক রাকিব। সেও স্ত্রী আফরোজাকে নিয়ে মরুভূমির দেশে পলাতক। ইউনুস ও রাকিব দুজনেই ১৫ আগস্টের হত্যাকারী। নির্দোষ স্ত্রীদ্বয় ও শিশুটি কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও স্বামীদের অপরাধের কারণে পরভূমে দেশান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছে। আফরোজা মেনে নিতে পারলেও সোহেলী কোনভাবেই স্বামীর এই নির্মম নিষ্ঠুর হত্যাকা- মেনে নিতে পারেনি। ১৫ আগস্টের রাতে সোহেলীর স্বামী ইউনুস শুধু জাতির জনককেই হত্যা করেনি, হত্যা করেছে বঙ্গমাতাসহ পুরো পরিবার, নিষ্পাপ ছোট্ট শিশু এবং হাতে সদ্য মেহেদী রাঙানো দুইজন নববধূকে।
×