ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অপরিকল্পিত নগরায়ণ, শিল্পায়ন ও গৃহায়ন এর কারণ

কমছে কৃষি জমি ॥ ঝুলে গেছে সুরক্ষার উদ্যোগ

প্রকাশিত: ১১:০৮, ১৬ আগস্ট ২০১৯

কমছে কৃষি জমি ॥ ঝুলে গেছে সুরক্ষার উদ্যোগ

তপন বিশ্বাস ॥ অপরিকল্পিত নগরায়ণ, শিল্পায়ন ও আবাসনে দ্রুত কমে যাচ্ছে কৃষি জমি। পাশাপাশি বাড়ছে জনসংখ্যা। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষি জমি সংরক্ষণে আইন করার উদ্যোগ নেয়া হলেও নানা কারণে ঝুলে গেছে আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া। আইনের খসড়া বছরের পর বছর ঘুরছে টেবিল থেকে টেবিলে। এ নিয়ে কারও কোন মাথাব্যথা নেই। ভূমি সচিব মাকছুদুর রহমান জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, ত্রুটির কারণে আইনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর্যায়ে রয়েছে। তবে শীঘ্রই এটি চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপরিকল্পিত আবাসন, নগরায়ণ, শিল্পায়ন। যেখানে খুশি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে আবাসন প্রকল্প। স্থাপন করা হচ্ছে শিল্পকারখানা। ব্যক্তিগত বাড়িঘর কৃষি জমিতে তৈরি হচ্ছে। অতীতের তুলনায় পাঁচগুণ হারে কমছে ফসলি জমি। সম্প্রতি জাতিসংঘের সহায়তায় মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান (এসআরডিআই) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, এক দশকে প্রতিবছর দেশে ফসলি জমির পরিমাণ ৬৮ হাজার ৭০০ হেক্টর করে কমছে; যা মোট ফসলি জমির শূন্য দশমিক ৭৩৮ শতাংশ। অথচ এর আগের তিন দশকে প্রতিবছর ফসলি জমি কমেছে মাত্র ১৩ হাজার ৪১২ হেক্টর। একই সঙ্গে প্রতিবছর আবাসন খাতে ৩০ হাজার ৮০৯ হেক্টর, নগর ও শিল্পাঞ্চলে ৪ হাজার ১২ হেক্টর এবং মাছ চাষে ৩ হাজার ২১৬ হেক্টর জমি যুক্ত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষি জমি সুরক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ’১৩ সালে আইনের খসড়া প্রণয়ন করে পাঠানো হয় মন্ত্রিসভায়। মন্ত্রিসভায় এটি একদফা অনুমোদন দিলেও পরবর্তীতে কিছু সংশোধনীর জন্য আবার ফেরত পাঠানো হয়। এরপর একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও এখনও তা রয়ে গেছে পর্দার আড়ালে। দীর্ঘ সময় ধরে আইনটি না হওয়ায় ক্রমান্বয়ে কমছে কৃষি জমি। এ বিষয়ে ভূমি সচিব মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী জনকণ্ঠকে বলেন, আইনটির খসড়া তৈরি করা হয়েছে। খসড়ার অনেক স্থানে বেশ কিছু ত্রুটি- বিচ্যুতি দেখা গেছে। খসড়া আইনে অনেক বড় করে জটিলতা সৃর্ষ্টি করা হয়েছে। এটি আরও ছোট ও সহজ করা দরকার। বিধিতে অনেক কিছু সংযোজন করতে হবে। শীঘ্রই আমরা এটি সংশোধন করে মন্ত্রিসভায় পাঠানোর উদ্যোগ নেব। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএসএআইডির অর্থায়নে এবং ন্যাশনাল ফুড পলিসি ক্যাপাসিটি স্ট্রেনদেনিং প্রোগ্রামের (এনএফপিসিএসপি) আওতায় গবেষণাটি পরিচালিত হয়। তাদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ সালে দেশে কৃষি জমির পরিমাণ ছিল ৯৭ লাখ ৬১ হাজার ৪৫০ হেক্টর। ২০০০ সাল পর্যন্ত ৩ লাখ ২১ হাজার ৯০৯ হেক্টর কমে দাঁড়ায় ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪১ হেক্টরে। কিন্তু এর মাত্র ১০ বছরে ২০১০ সালে ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর কমে মোট কৃষি জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭ লাখ ৫১ হাজার ৯৩৭ হেক্টরে। বর্তমানে তা ৫ লাখ হেক্টরের নিচে নেমে এসেছে। ১৯৭৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত শূন্য দশমিক ১৩৭ শতাংশ হারে কমলেও ২০০০ থেকে ২০১০ সাল মেয়াদে ওই হারের পাঁচগুণের বেশি অর্থাৎ শূন্য দশমিক ৭২৮ শতাংশ হারে কমেছে। অস্বাভাবিক হারে ফসলি জমি কমে যাওয়ার এ প্রবণতাকে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ন্যাশনাল রিসার্স গ্রান্ড এ্যাডমিনিস্ট্রেটর নূর আহমেদ খোন্দকার বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের গবেষণা হয়েছে। ফসলি জমির কমার কোন গবেষণা না থাকায় এর আগে সঠিক তথ্য নিয়ে বিভ্রান্ত হতে হতো। তিনি বলেন, গবেষণায় ফসলি জমি হ্রাস পাওয়ার যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা উদ্বেগজনক। অধিক ফলনশীল জাতের ফসল উদ্ভাবন না হলে এরই মধ্যে ফসলি জমি হ্রাসের প্রভাব পড়ত খাদ্য নিরাপত্তায়। তারপরও ফসলি জমি কমে আসার এই হার খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি। গবেষক দলের প্রধান নাজমুল হাসান তখন বলেন, দেশে এখন ৬ এর বেশি জিডিপি অর্জিত হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশে নগরায়ণ ও শিল্পাঞ্চল দিন দিন বাড়বেই। কিন্তু আমরা যদি নগরায়ণ ও শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে সঙ্গে ফসলি জমির একটি সমন্বিত ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারি, তাহলে ফসলি জমি কমার হার অনেকাংশে কমে আসবে। কৃষি জমি ॥ গবেষণায় কৃষি জমি বলতে ফসলি জমি, বন, নদী, লেক, বিল ও হাওড়, চা বাগান ও লবণাক্ত এলাকাকে ধরা হয়েছে। গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ সালে কৃষিজ জমির মোট পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৩৩ লাখ ৩ হাজার ৬৫৪ হেক্টর; যা দেশের মোট আয়তনের ৯১ দশমিক ৮৩ ভাগ। ২৪ বছরের মাথায় ২০০০ সালে কৃষিজ জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ২৭ লাখ ৪২ হাজার ২৭৪ হেক্টর এবং ৩৪ বছরে অর্থাৎ ২০১০ সালে এই কৃষিজ জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ২১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০৪ হেক্টর। গবেষকদের হিসেবে, এই এক দশকে কৃষিজ জমির পরিমাণ শূন্য দশমিক ৪১৬ শতাংশ হারে কমেছে। ১৯৭৬ সালে দেশে মোট সমতল বনাঞ্চলের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯১৭ হেক্টর; যা দেশের মোট আয়তনের ১২ দশমিক ১১ ভাগ। কিন্তু ৩৪ বছর পর ২০১০ সালে তা দাঁড়ায় ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৬ হেক্টর; যা মোট আয়তনের ৯ দশমিক ৮৪ ভাগ। ১৯৭৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সমতল বন কমে এক দশমিক ০৫৪ শতাংশ। কিন্তু এক দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০১০ সাল মেয়াদে তা বছরে শূন্য দশমিক ০৯৩৮ শতাংশ হারে বেড়েছে। সামাজিক বনায়নের প্রভাবে সমতল বনের পরিমাণ বেড়েছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়। ১৯৭৬ সালে দেশের মোট আয়তনের তিন দশমিক ১২ ভাগ জুড়ে ছিল সুন্দরবন। কিন্তু সুন্দরবনও ২০০০-২০১০ সাল মেয়াদে বছরে শূন্য দশমিক ০৩২ শতাংশ হারে হারিয়ে যাচ্ছে বলে গবেষণায় উঠে আসে। গবেষণা অনুযায়ী, ১৯৭৬ সালে সুন্দরবন ছিল ৪ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪ হেক্টর, ২০০০ সালে তা বেড়ে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬১ হেক্টর হলেও ’১০ সালে সুন্দরবনের আয়তন কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪৫৫ হেক্টর। দেশের কৃষিজ জমির ক্ষেত্রে নদীর আয়তন কিছুটা বেড়েছে বলেও গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ’৭৬ সালে নয় লাখ ১১ হাজার ৮১৯ হেক্টর নদী অঞ্চল ছিল; যা ২০০০ সালে কমে দাঁড়িয়েছিল আট লাখ ৮৮ হাজার ৪৪১ হেক্টরে। বছরে শূন্য দশমিক ০৩৩ শতাংশ হারে বেড়ে ২০১০ সালে তা নয় লাখ ৩৯ হাজার ৭৩ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। তবে ৩৪ বছরেও লেক, হাওড় ও বিলের আয়তনের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশে পুকুর-ডোবার পরিমাণ মাত্র ৫৮২ হেক্টর ছিল; যা দেশের মোট আয়তনের দশমিক ৯৯ ভাগ। ’১০ সালে দেশের মোট আয়তনের ১ দশমিক ২১ ভাগ জুড়ে রয়েছে পুকুর। ২০০০ সালে তা বেড়ে এক লাখ ৪৩ হাজার ৫০৬ হেক্টরে পৌঁছলেও পরের দশকে তা বছরে দশমিক ০২২ শতাংশ হারে বেড়েছে। ফলে ’১০ সালে দেশে মাছ চাষের জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল এক লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৩ হেক্টরে। অবশ্য চা চাষের জমি কমে যাচ্ছে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ সালে এক লাখ ১৯ হাজার ৮৪৭ হেক্টর জমিতে চা চাষ হতো এবং তা ২০০০ সাল পর্যন্ত বছরে দশমিক ০০৫ শতাংশ হারে বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৩৩ হেক্টরে। কিন্তু পরবর্তী ১০ বছরে তা দশমিক ০২৯ শতাংশ হারে কমে দাঁড়িয়েছে ৯৬ হাজার ১৫২ হেক্টরে। দেশে লবণাক্ত কৃষি জমির পরিমাণ ৩৪ বছরে তিনগুণের বেশি বেড়ে ২০১০ সালে ১১ হাজার ৭৮৯ হেক্টর থেকে ৩৬ হাজার ২২ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। গত ১০ বছরে দশমিক ০০৮ শতাংশ হারে বেড়ে তা দেশের মোট আয়তনের দশমিক ২৫ ভাগ হয়েছে। অকৃষি জমি ॥ গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ৩৪ বছরে দেশের অকৃষি জমি দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ৮ দশমিক ১৭ ভাগ থেকে ১৬ দশমিক ৪৭ ভাগে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭৬ সালে দেশে মোট ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬০৫ হেক্টর অকৃষি জমি ছিল; যা ২০০০ সালে ১৭ লাখ ৮৮ হাজার ৩০৭ হেক্টরে পরিণত হয়। পরবর্তী ১০ বছরে গড়ে দশমিক ৪১৬ শতাংশ হারে বেড়ে ২০১০ সালে ২৪ লাখ ৮৬৭ হেক্টর হয়েছে। অকৃষি জমির মধ্যে গ্রামীণ আবাসন, শহুরে ও বাণিজ্যিক এলাকা এবং চাষ অযোগ্য পতিত জমিকে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণ আবাসনেই সবচেয়ে বেশি জমি গেছে। গত দশকে বছরে গ্রামীণ আবাসনে শূন্য দশমিক ২০৮ শতাংশ হারে বেড়ে ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ১২৩ হেক্টর হয়েছে; যা ২০০০ সালে ১৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩১ হেক্টর এবং ১৯৭৬ সালে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩৭ হেক্টর ছিল। বর্তমানে গ্রামীণ আবাসন খাত দেশের মোট আয়তনের ১২ দশমিক ১২ ভাগ দখল করে রয়েছে। ২০০০ থেকে ’১০ এই ১০ বছরে দেশে উল্লেখযোগ্যহারে নগরায়ণ ও শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। ’৭৬ সালে দেশে নগর ও শিল্পাঞ্চল ছিল মাত্র ২৬ হাজার ৭৯৯ হেক্টরজুড়ে। ২০০০ সাল পর্যন্ত ২৪ বছরে মাত্র দশমিক ০০৬ শতাংশ বেড়ে তা দাঁড়ায় ৪৭ হাজার ৪৯৫ হেক্টরে। কিন্তু ২০০০ পরবর্তী বছরে গড়ে ৪০১২ হেক্টর কৃষি জমিকে দখল করেছে নগর ও শিল্প এলাকা। তার কারণে ’১০ সাল পর্যন্ত ৮৭ হাজার ৬১৬ হেক্টর জমি নগর ও শিল্পে চলে যায়। গবেষকরা দ্রুত বাড়তে থাকা নগর হিসেবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের পরে রংপুর বিভাগকে উল্লেখ করে। তাদের মতে, প্রতিবছর গড়ে ঢাকা বিভাগে ১৯ হাজার ৯৫৯ হেক্টর, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৫৬ হেক্টর, সিলেট বিভাগে ৫৩৩ হেক্টর ও রংপুর বিভাগে ১১৫ হেক্টর কৃষি জমি নগর ও শিল্পাঞ্চলে যুক্ত হচ্ছে। গবেষণা মতে, নদীর বুকে ও উপকূলীয় জেলাগুলোতে নতুন নতুন চর জেগে ওঠায় ’১০ সাল পর্যন্ত দেশের মোট চাষ অযোগ্য পতিত জমির পরিমাণ ৫ লাখ ৪৭ হাজার ১২৮ হেক্টর; যা দেশের মোট আয়তনের ৩ দশমিক ৭৫ ভাগ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন এই চরগুলো আবাদযোগ্য হতে কমপক্ষে ৪০ বছর করে সময় নেবে। ’৭৬ সালে দেশে ২ লাখ ৭১ হাজার ১৬৯ হেক্টর চাষ অযোগ্য পতিত জমি ছিল; যা দেশের মোট আয়তনের এক দশমিক ৮ ভাগ। ২০০০ সাল পর্যন্ত বছরে দশমিক ১৮ শতাংশ হারে বেড়ে তা দাঁড়ায় ২ লাখ ৮২ হাজার ৭৮১ হেক্টরে। কিন্তু ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দেশে চাষ অযোগ্য পতিত জমির পরিমাণ বেড়েছে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, এই দশ বছরে দেশে বছরে নয় দশমিক ৩৪৮ শতাংশ হারে চাষ অযোগ্য পতিত জমির পরিমাণ বেড়েছে। গবেষক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তৈরি ৪২ ডিজিটাল ও স্যাটেলাইট ম্যাপ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বার্ষিক কৃষি পরিসংখ্যান বুক, সয়েল সার্ভে প্রতিবেদন ও জিওগ্রাফিক ইনফর্মেশন সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়েছে। গবেষণায় যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তা বিশ্বের গুটিকয় দেশে রয়েছে। গবেষকরা জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দলের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে ছিলেন। কাজের অবস্থা ও অগ্রগতি নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিং করতেন। কাজেই তাদের গবেষণার মানে কোন দুর্বলতা থাকার সুযোগ নেই।
×