ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতা দিবসে ভাষণ

ভারতে নতুন সামরিক পদ সৃষ্টির ঘোষণা মোদির

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ১৬ আগস্ট ২০১৯

ভারতে নতুন সামরিক পদ সৃষ্টির ঘোষণা মোদির

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রের আদলে ‘চীফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ নামে একটি নতুন সামরিক পদ সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছেন যিনি সেনা, নৌ ও বিমান- তিন বাহিনীরই প্রধান হিসেবে গণ্য হবেন। বৃহস্পতিবার ভারতের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসের সকালে লাল কেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদির এই ঘোষণা আসে। খবর আনন্দবাজার, এনডিটিভি, ওয়ান ইন্ডিয়া ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার। মোদি তার বক্তৃতায় বলেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গর্ব। প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি শাখার মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার করতে আমি আজ এই লাল কেল্লা থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত আপনাদের জানাতে চাই। ভারতে একজন সিডিএস বা চীফ অব ডিফেন্স স্টাফ থাকবেন। তাতে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও কার্যকর হয়ে উঠবে।’ এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীফ অব ডিফেন্স স্টাফের দায়িত্ব হবে ভারতের তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করা এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাহিনীগুলোর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করা। চার তারকা জেনারেল পদমর্যাদার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা চীফ অব ডিফেন্স স্টাফের দায়িত্ব পাবেন। সেনা, নৌ বা বিমান- যে কোন বাহিনী থেকে একজনকে এই দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। তিন বাহিনীর বাজেট নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা থাকবে। এরকম একটি পদ সৃষ্টির জন্য দীর্ঘদিন ধরে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন সেনা কর্মকর্তারা। ১৯৯৯ সালে কার্গিলে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের পরে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি করা হয়। সেই কমিটির প্রতিবেদনেও একজন ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট’ অফিসার নিয়োগের সুপারিশ করা হয়, যিনি সকল বাহিনীর প্রধান হিসেবে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সমন্বয় করবেন। নরেন্দ্র মোদির প্রথম মেয়াদের সরকারে দুই বছর প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মনোহর পরিকরও ‘চীফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ পদ সৃষ্টির প্রস্তাবকে জোরালো সমর্থন দেন। বর্তমানে ভারতের তিন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত চীফ অব স্টাফ কমিটি সমন্বয়ের কাজটি করে। ওই কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এয়ার চীফ মার্শাল বীরেন্দ্র সিং ধানোয়া। তবে চেয়ারম্যানের ক্ষমতা বা এখতিয়ার ‘চীফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ এর সমপর্যায়ের নয়। নতুন ওই পদে কে আসবেন, সে বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি নরেন্দ্র মোদির সরকার। কাশ্মীরের অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তার সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-গুলো তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, ৭০ বছরে যে কাজ হয়নি তার সরকার ৭০ দিনের মধ্যে সেগুলো করেছে। তিনি এদিন সকালে দিল্লীর লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের ভাষণটি দেন। তিনি কাশ্মীরের ওপর তার সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। মোদি বলেন, ‘নতুনভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা সরকারী প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করেছি। আমাদের জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারি।’ তিনি বলেন, জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে ক্ষমতা গ্রহণের ১০ সপ্তাহের মধ্যে আমরা কয়েকটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
×