ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিজানুর রহমান শেলীর মৃত্যুতে ফখরুলের শোক

প্রকাশিত: ০১:৫৫, ১৩ আগস্ট ২০১৯

মিজানুর রহমান শেলীর মৃত্যুতে ফখরুলের শোক

অনলাইন রিপোর্টার ॥ সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও রাজনীতি বিশ্লেষক ড. মিজানুর রহমান শেলীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় ফখরুল বলেন, মিজানুর রহমান শেলীর মৃত্যুতে তার পরিবার-পরিজনদের ন্যায় আমিও সমব্যথী। একজন গুণী, সুশিক্ষিত, সংস্কৃতবান ও রুচিশীল মানুষ হিসেবে তিনি সর্বমহলে সমাদৃত ছিলেন। তিনি ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সমাজবিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মিজানুর রহমান শেলী সাহিত্যের নানা বিষয়ের চর্চা করতেন। তিনি ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক ও আলোকিত মানুষ। একজন সুলেখক হিসেবেও তিনি খ্যাতিমান ছিলেন। স্বদেশ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত থেকে তিনি যেসব পেশার সঙ্গে কাজ করেছেন সেসবের প্রত্যেকটিতে দক্ষতা ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি সমাজসেবার নানা কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। সর্বোপরি তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার, সজ্জন ও বিনয়ী স্বভাবের মানুষ। তার মতো একজন বরেণ্য শিক্ষাবিদের মৃত্যু দেশের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি। আমি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। এর আগে সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহার দিন বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মিজানুর রহমান শেলী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। গত ২৫ জুন অসুস্থ হয়ে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী। তিনি বার্ধক্যকালীন নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। ড. মিজানুর রহমান শেলী বেসরকারি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স-এর সম্পাদক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান উভয় সরকারের আমলা হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে কর্মজীবন শুরু করেন মিজানুর রহমান শেলী। ১৯৯০ সালে তিনি সরকারের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্বপালন করেন।
×