ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের দিনে কারাবন্দিদের জন্য বিশেষ খাবার

প্রকাশিত: ০০:১৯, ১২ আগস্ট ২০১৯

ঈদের দিনে কারাবন্দিদের জন্য বিশেষ খাবার

অনলাইন রিপোর্টার ॥ সারাবিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মতো ঈদ উদযাপন করছেন কারাবন্দিরাও। তেমনি আজ সোমবার ঈদুল আজহার খুশিতে মেতেছে দেশের সবকটি কারাগার। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কারাবন্দিদের জন্য নানা আয়োজন করেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে ‘বিশেষ খাবার’-এর ব্যবস্থাও। কারা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোর ৭টায় বন্দিদের দেয়া হয় মুড়ি, পায়েস আর সেমাই। সকালে ঈদের নামাজের আগে তাদের প্রত্যেকের সেলে পৌঁছে যায় এই খাবার। আপন আলয়ের অনুভূতি দিতেই বন্দিদের জন্য এ আয়োজন করে কারা কর্তৃপক্ষ। শুধু কেন্দ্রীয় কারাগারে নয়, এ জাতীয় খাবার দিয়েই এদিন ঈদ উদযাপন শুরু করে ঢাকাসহ দেশের ৬৮টি কারাগারের বন্দিরা। নাস্তা খাওয়ার পর সকাল ৮টায় কারাগারের ভেতরের ময়দানে ঈদুল আজহার জামাতে অংশ নেন কারাবন্দিরা। যা ছিল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একমাত্র ঈদ জামাত। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কারাগার মসজিদে ও খোলা আকাশের নিচে ঈদের নামাজ আদায় করেন বন্দিরা। ঈদ জামাতের ইমামতি করেন কারাগারের নিয়মিত ইমাম। নামাজ শেষে বন্দিদের সঙ্গে ঈদ আনন্দে মেতে ওঠেন কারা কর্মকর্তা ও কারারক্ষীরাও। ঈদের নামাজের পরপরই একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করেন বন্দিরা। হাসি ঠাট্টায় মেতে ওঠেন তারা। স্বজনদের না পেলেও এদিন বন্দিরা একে অপরকে আপন করে নেন। এদিকে বন্দিদের জন্য দুপুরের খাবারের তালিকায় সাদা ভাত, রুই মাছ আর আলুর দম রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। আর রাতের মেন্যুতে কারাবন্দিদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ আয়োজন। সেখানে রাখা হয়েছে- পোলাও, কোরবানির গরুর মাংস, খাসির মাংস, ডিম, মিষ্টান্ন এবং পান-সুপারি। এছাড়া রাতের খাবারের পর বন্দিদের জন্য মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হওয়ার কথাও রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি। এদিকে, এবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সাড়ে ১১ হাজার কারাবন্দির জন্য ৩ হাজার ৩০০ কেজি কোরবানির গরুর মাংসের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার জেলার মাহাবুবুল ইসলাম মিলন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কারাবন্দিদের রাতের আহারের জন্য চাহিদাপত্র অনুযায়ী বেশ কয়েকটি গরু কোরবানি দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রাত ৯টার মধ্যে এসব মাংস রান্না করে কারাবন্দিদের খাবারে সরবরাহ শুরু হবে। যেসব বন্দিদের গরুর মাংসে অ্যালার্জি তাদের জন্য খাসির মাংস সরবরাহ করা হবে। এসব আনন্দকে ছাপিয়ে ঈদের যে বিষয়টির জন্য আজ অপেক্ষা করছেন কারাবন্দিরা, তাহলো- প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদ উপলক্ষে কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পরিবারের আনা খাবার খেতে পারবেন বন্দিরা। সেইসঙ্গে এবারও ঈদের দিন দেশের সব কারাগারে কয়েদি ও হাজতিদের সঙ্গে আত্মীয়-পরিজনদের দেখা করার বিশেষ সুযোগ দেয়া হয়েছে।
×