ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঈদগা ময়দান ও বায়তুল মোকাররমে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ১০:২০, ১১ আগস্ট ২০১৯

 ঈদগা ময়দান ও বায়তুল মোকাররমে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছন, ঈদ-উল-আজহার জামাতকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঈদগা ময়দান ও বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় পাঁচস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঈদগায়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার স্বার্থে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া কিছুই সঙ্গে আনতে পারবেন না মুসল্লিরা। তবে পুলিশ প্রয়োজন মনে করলে জায়নামাজ ও ছাতা খুলে তল্লাশি শেষে ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেবে। শনিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। ডিএমপি কমিশনার জানান, রাজধানীজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সবচেয়ে বড় ও প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগা ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। এসব ঈদ জামাতকে ঘিরে সুদৃঢ়-সুসমন্বিত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। পুরো এলাকা সিসিটিভি মনিটরিংয়ের পাশাপাশি আন্তঃবেষ্টনী-বহিঃবেস্টনী ঘিরে মোট পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ডিএমপি। এর মধ্যে পোশাকধারী পুলিশ, সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ, সোয়াত, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ওয়াচ-টাওয়ার, আর্চওয়ে ও সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা থাকবে। এর মধ্য দিয়েই মুসল্লিদের ঈদ জামাতে প্রবেশ করতে হবে। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঈদ জামাতে প্রবেশে মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আব্দুল গনি রোড, দোয়েল চত্বর, মৎস্য ভবন মোড়সহ কয়েকটি বেরিকেড থাকবে। এসব রাস্তা দিয়ে ঈদগাহের দিকে হেঁটে আসতে হবে। বেরিকেডের ভেতর ভিভিআইপি ছাড়া কোন গাড়ি চলাচল করতে পারবে না। বেরিকেডের ভেতরে সবাইকে তল্লাশি করে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। যারা জামাতে আসবেন তারা সঙ্গে দাহ্য পদার্থ, ব্যাগ, ছুরি, দিয়াশলাই নিয়ে আসবেন না। পুলিশ কমিশনার জানান, জাতীয় ঈদগা মাঠের প্রধান গেটে আবারও আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। সেখানে দৈবচয়নের ভিত্তিতে আরও ব্যাপক তল্লাশি চালানো হতে পারে। গোটা এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে এসব ক্যামেরার ফুটেজ রিয়েল টাইম নজরদারি করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদগাহে আগত মুসল্লিদের পুলিশকে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি। যেখানে-সেখানে কোরবানি না করার অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারি করা হবে। অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করবে। ঈদ উপলক্ষে আরও ৪-৫ দিন আগে থেকেই মহানগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। যত্রতত্র কোরবানি না করার অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ জানান। এতে সিটি করপোরেশন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বর্জ্য সরিয়ে নিতে পারবে। কোরবানির বর্জ্য থেকে যেন ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বৃদ্ধি না পায়, সেজন্য নগরবাসীকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান। এর আগে ঈদগাহ ময়দানে ডিএমপি কমিশনার স্পেশাল ওয়েপনস এ্যাড ট্যাকটিক্স (সোয়াট) এবং কে-নাইন (ডগ স্কোয়াড) দলের নিরাপত্তা মহড়া পরিদর্শন করেন।
×