ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

ঈদের ছুটিতে স্কুল কলেজে চালাতে হবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম

প্রকাশিত: ১০:১৭, ১১ আগস্ট ২০১৯

 ঈদের ছুটিতে স্কুল কলেজে চালাতে হবে ডেঙ্গু  প্রতিরোধ কার্যক্রম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদ উপলক্ষে টানা ১২ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকলেও প্রতিষ্ঠান তালাবন্ধ করে রাখা যাবে না। ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য প্রতিটি স্কুল কলেজে কর্তৃপক্ষকে চালাতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান। ঈদের ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এ আদেশ দিয়ে প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ৬ সদস্য করে একটি বা একাধিক টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ টিমকে ছুটিতে প্রতি ৪৮ ঘণ্টা পরপর পরিচ্ছন্ন অভিযান চালাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন বলেছেন, ঈদের ছুটিতে প্রতিষ্ঠান একেবারে বন্ধ থাকতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) একটি সেল গঠন করা হয়েছে। এতে একজন উপপরিচালক সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। পরিচালক (প্রশিক্ষণ) অধ্যাপক প্রবীর কুমার ভট্টাচার্যকে ফোকাল পয়েন্ট নিযুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সর্বাত্মক চেষ্ট চালানো হচ্ছে। ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে কর্মচারী, স্কাউটস, বিএনসিসি ও শিক্ষার্থী সমন্বয়ে ছয় থেকে ১০ জনের একটি বা একাধিক টিম গঠন করতে হবে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সবার অনুপস্থিতিতে খেলার মাঠ, ফুলের টব, পানি জমে এমন যেকোন পাত্রে এডিস মশার প্রজনন প্রক্রিয়া আরও বেগবান হতে পারে। এতে সরকার গৃহীত ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত এবং ডেঙ্গুর আরও বিস্তার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ছুটির মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের ছয়টি দায়িত্ব পালন করতে হবে। দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে- টিম গঠন করে বিদ্যালয় ও আশপাশে যেসব জায়গায় স্বচ্ছ পানি জমার সম্ভাবনা থাকে সেসব স্থান চিহ্নিত করে প্রতিদিন একবার পরিষ্কার করতে হবে, বাথরুমের বদনা ও বালতির পানি শূন্য করে উল্টিয়ে রাখতে হবে, হাইকমোডে হারপিক ঢেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখতে হবে, বাথরুমের প্যানে হারপিক ঢেলে বস্তা বা অন্য কিছু দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে হবে, কোন স্থানে জমাটবদ্ধ পানি থাকলে লার্বিসাইড স্প্রে করতে হবে অথবা জমাট পানি নিষ্কাশন করতে হবে, আগামী ১২ ও ১৩ আগস্ট ছাড়া (ঈদের দিন ও পরের দিন) প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষ খোলা রেখে রোস্টার ডিউটির মাধ্যমে টিমের শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম টিমে নিয়োজিত শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কেউ ঈদের ছুটিতে গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন বলেছেন, সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। কার্যক্রম সম্পর্কে নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দেবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মককর্তা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন পাঠাবেন। জেলা থেকে সেই রিপোর্ট সরাসরি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) ডেঙ্গু প্রতিরোধ সেলে পাঠাতে হবে। সোহরাব হোসাইন শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, প্রতি একদিন পরপর প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ, ঝোপঝাড়, আশপাশ এলাকা এবং যেসব জায়গায় পানি জমতে পারে সেসব এলাকা চিহ্নিত করে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে হারপিক ব্যবহার করতে হবে বাথরুমে। ঈদের ছুটিতে প্রতিষ্ঠান একেবারে বন্ধ থাকতে পারবে না।
×