নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ১০ আগস্ট ॥ ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে যাবার পথে এক তরুণী (১৮) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। স্বামীর সামনেই ছয় যুবক পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার চল্লিশা রাজেন্দ্রপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ তিন ধর্ষক ও এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ধর্ষিতা তরুণীকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষিতা তরুণীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায়। তার বাবা-মা কর্মসূত্রে ময়মনসিংহের ভালুকার সিডস্টোর এলাকায় থাকেন। আর তার স্বামীর বাড়ি গৌরীপুর উপজেলায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই তরুণী ও তার স্বামী নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার স্বজনবাড়িতে যাবার উদ্দেশে সিডস্টোর এলাকা থেকে রওনা দেন। ময়মনসিংহ বাসস্ট্যান্ডে এসে তারা নেত্রকোনাগামী বাসে ওঠেন। বাসটি সন্ধ্যা সাতটার দিকে সদর উপজেলার চল্লিশা রাজেন্দ্রপুর এলাকার বিসিক শিল্পনগরীর কাছে এলে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার উদ্দেশে ওই তরুণী স্বামীসহ বাস থেকে নেমে পড়েন। পরে তিনি সারিন্দা ফাস্ট ফুড নামে একটি দোকানের পেছনের টয়লেট ব্যবহার করতে যান। এ সময় পাঁচ-ছয়জন যুবক তার স্বামীকে অবরুদ্ধ করে রেখে ওই তরুণীকে সারিন্দা ফাস্ট ফুডের ম্যানেজার মাহফুজুল ইসলাম মামুনের রুমে নিয়ে যায় এবং রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর স্বামীসহ ওই তরুণীকে রুমের মধ্যে আটক করে রাখে। রাত ১টার দিকে ঘটনা প্রকাশ না করার শর্তে এবং হুমকি দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। পরে তারা জেলা সদরে পৌঁছে নেত্রকোনা মডেল থানায় গিয়ে ঘটনাটি জানায়। রাতেই পুলিশ অভিযানে নামে এবং ধর্ষক সাইদুল ইসলাম (৩০), রেজাউল করিম পাভেল (২৮), জামান বাশার (২৭) এবং তাদের সহযোগী সারিন্দা ফাস্ট ফুডের ম্যানেজার মাহফুজুল ইসলাম মামুনকে গ্রেফতার করে। এছাড়া এনামুল হক স¤্রাট (২৭), জিহান (২৭) ও রাসেল (৩০) নামে অপর তিন ধর্ষক পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষকদের বাড়ি সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: