ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনার জিআরপি থানার ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ১১ আগস্ট ২০১৯

খুলনার জিআরপি থানার  ওসিসহ ৫ পুলিশ  সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনার জিআরপি থানায় (রেলওয়ে থানা) গৃহবধূ নারীকে (৩০) গণধর্ষণের ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উসমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে শুক্রবার জিআরপি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে ‘হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণ আইন ২০১৩’ অনুসারে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রেলওয়ে পুলিশের কুষ্টিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ও রেলওয়ে পুলিশের পাকশী জোনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ফিরোজ আহমেদ জানান, আদালতের নির্দেশে খুলনা জিআরপি (রেলওয়ে) থানার ওই নারী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ওসি উছমান গণি, ঘটনার রাতের ডিউটি অফিসার ও অজ্ঞাত ৩ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নং- ০৩। খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে ২০১৩ সালের ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের’ ১৫ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন, তার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের কমিটি ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তদন্ত শেষ হতে আরও সময় লাগবে। শনিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কমিটির প্রধানের কাছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন জানা নেই। তবে যাকে দায়িত্ব দেয়া হবে তিনিই করবেন। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ৩ সদস্যের কমিটির প্রধানকে রেলওয়ের খুলনা থানায় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করেছে পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার। এ বিষয়ে জানার জন্য মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও রেলওয়ে পাকশীর পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এদিকে পুলিশ সদর দফতর থেকে আসা রেলওয়ে পুলিশের এসপি সেহেলা পারভীনের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের কমিটি তদন্ত করে ঢাকায় ফিরে গেছে। উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে গৃহবধূ ওই নারীকে (৩০) আটক করে খুলনা জিআরপি থানা পুলিশ। ওই নারীর অভিযোগ মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ দিয়ে তাকে আটক করা হয়। ওইদিন রাতে থানা হাজতে ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য তাকে মারধর ও ধর্ষণ করে। পরদিন তাকে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গত রবিবার ওই নারী খুলনার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে মারধর ও গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। আদালত তার জবানবন্দী গ্রহণ করে তাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে গত সোমবার তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
×