ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রংপুরে গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন ॥ গ্রেফতার দুই

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ১১ আগস্ট ২০১৯

 রংপুরে গৃহবধূকে গাছে বেঁধে  নির্যাতন ॥ গ্রেফতার দুই

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর, ১০ আগস্ট ॥ দেবরের মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগে গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে নির্যাতন করেছে দেবর ও তার সঙ্গপাঙ্গরা। নির্যাতনের পর তার মাথার চুল কেটে গলায় জুতার মালা পরিয়ে পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামে। এ ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মানিকা বেগমের স্বামী। পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে। শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার) পিপিএম। জানা যায়, দেড় মাস আগে মানিকা বেগমের দেবর আব্দুল মতিনের মেয়ে মৌসুমীর বিয়ে হয় রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীরের লিটন মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর লিটনের সন্দেহ হয় বিয়ের আগে কারও সঙ্গে মৌসুমীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে গত ২১ জুলাই লিটন মৌসুমীকে তালাক দেন। এ ঘটনায় মতিনের পরিবারের ধারণা, মানিকা বেগমই জামাইকে নানা কথা বলে মৌসুমীর সংসার ভেঙ্গেছে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে বুধবার বিকেলে আব্দুল মতিন, তার স্ত্রী, মেয়ে ও তার ভাই আব্দুল মোতালেবসহ পরিবারের লোকজন এক হয়ে মানিকা বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে। একপর্যায়ে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মাথার চুল কেটে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে বিকেলে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মানিকা বেগমকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মানিকার স্বামী মোকলেছ মিয়া বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার পর এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল মতিন ও মোতালেবকে শনিবার সকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে বেতগাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপটন বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা পরস্পর দেবর-ভাবি-ভাই-ভাতিজি সম্পর্কের। গঙ্গাচড়া থানার ওসি (তদন্ত) সুশান্ত কুমার সরকার জানান, এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
×