ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত শোলাকিয়া

প্রকাশিত: ০৮:২১, ১১ আগস্ট ২০১৯

 ঈদ জামাতের জন্য  প্রস্তুত শোলাকিয়া

মাজহার মান্না, কিশোরগঞ্জ ॥ দেশের সর্ববৃহৎ ঈদগা কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ঈদ-উল-আজহার জামাতের জন্য প্রস্তুত। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও ঈদগা পরিচালনা কমিটি সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। জামাত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পর্যাপ্তসংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে দুই প্লাটুন বিজিবি। ঈদের দিন শোলাকিয়ায় মাঠের বাইরে, ভেতরে ও প্রবেশপথে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে। জামাত সামনে রেখে শহর এবং আশপাশের এলাকায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। ঈদগা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। মাঠে স্থাপন করা হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার। জামাতে অংশ নেয়া কোন মুসল্লি শুধু জায়নামাজ ছাড়া ঈদগায় ছাতা, ব্যাগ ও অন্যকিছু নিয়ে ঢুকতে পারবে না। ইতোমধ্যে মাঠের দাগ কাটাসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কার এবং অজু-পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্প্রতি শোলাকিয়া ঈগগা মাঠ পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম পৃথক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। কোরবানির বাধ্যবাধকতার কারণে এ বছর শোলাকিয়ায় সকাল সাড়ে ৮টায় জামাতের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ঈদগার ইমাম মাওলানা ফরিদউদ্দীন মাসউদ হজে যাওয়ায় এবারের ১৯২তম জামাতে ইমামতি করবেন প্যানেল ইমাম শহরের মারকায জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হিফজুর রহমান খান। এদিকে দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিদের আগমনের সুবিধার্থে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঈদের দিন দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। এর মধ্যে একটি ট্রেন ভৈরব থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে সকাল ৮টায় পৌঁছবে। আর কিশোরগঞ্জ থেকে বেলা ১২টায় ফিরতটি ট্রেনটি ভৈরব পৌঁছবে দুপুর ২টায়। অপর ট্রেনটি ভোর পৌনে ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে কিশোরগঞ্জ পৌঁছবে সকাল ৮টায়। আর জামাত শেষে বেলা ১২টায় কিশোরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। তবে শোলাকিয়ায় নামাজ আদায়ের জন্য প্রতিবারই জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে মুসল্লিগণ ছুটে আসেন। তবে কোরবানির ব্যস্ততার কারণে ঈদ-উল-আজহার জামাতে ঈদ-উল-ফিতরের তুলনায় মুসল্লির সংখ্যা অনেক কম হয়ে থাকে। জেলা প্রশাসক ও মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী জানান, মুসল্লিসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ঈদ জামাত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে চাই। এ সময় তিনি মুসল্লিদের নির্ভয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদ-উল-আজহার জামাতে শরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। ঈদ জামাতের সার্বিক নিরাপত্তাজনিত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। ২০১৬ সালে সংঘটিত জঙ্গী হামলার কারণে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তিনস্তরে এবং ৮টি সেক্টরে সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি চেকপোস্ট, ১৭টি পিকেট, ৬টি ওয়াচ টাওয়ার, বোম্ব ডিসপোজাল টিম, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে, সিসি ক্যামেরা, ওপেন সার্কিট ক্যামেরা থাকবে।
×