ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চীন থেকে আনা নতুন ওষুধ ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি

প্রকাশিত: ১১:০৪, ১০ আগস্ট ২০১৯

 চীন থেকে আনা নতুন ওষুধ ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মশা মারতে অধিক কার্যকরী চীন থেকে নিয়ে আসা নতুন ওষুধ আনুষ্ঠানিকভাবে ছিটানোর কাজ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে কীটনাশক প্রয়োগ শুরু করা হয়। ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ কম সময়ে অধিক পরিমাণ ওষুধ ছিটাতে ও বেশি এলাকায় কাজ করতে নতুন পদক্ষেপ হিসেবে মোটরসাইকেলে করে এই কীটনাশক ছিটানো হয়। এ সময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ মোমিনুর রহমান মামুনসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এলজিআরডিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার সর্বাত্মকভাবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছে। আজ ছুটির দিনেও আমরা এসেছি, আপনারা এসেছেন। সচিবালয়ে গেলে দেখবেন আমাদের মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের সব কর্মকর্তা কাজ করছেন। এই ধারা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গ্রাম পর্যায়ের দফতরেও অব্যাহত আছে। দুই সিটি কর্পোরেশনকে আমরা নতুন করে এক হাজার ৬০০ কর্মী দিয়েছি। মন্ত্রী ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে শিশুদের পাঠ্যবইয়ে সচেতনতামূলক অধ্যায় অন্তর্ভুক্তির তাগিদ দেন মেয়রকে। তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই দেখেছি শিশুদের পাঠ্য সিলেবাসে ডেঙ্গু বা মশার বিষয়ে পড়ানো হয়। ডেঙ্গু বিষয়ে আমাদের বছরের ৩৬৫ দিন কাজ করতে হবে। আমাদের সবার দায়িত্ব আছে। সরকার তার সব শক্তি প্রয়োগ করলেও শহরের সব বাসার পরিবেশ ঠিক করতে পারবে না। কিন্তু প্রতিটি বাড়ির মালিক যদি একদিকে নিজ নিজ উদ্যোগে কাজ করেন তাহলে শহরের সব বাড়ি একদিনে পরিষ্কার হয়ে যাবে। এরপর মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে উক্ত এলাকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখান। মেয়র বলেন, আমাদের ওষুধ সব দফতর পরীক্ষিত হয়ে এসেছে। আজ থেকে নতুন ওষুধ ছিটানো শুরু হলো। তবে আমরা যেমন ওষুধ ছিটাব তেমনি সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমাদের কাজ ওষুধ ছিটানো হলে নগরবাসীর কাজ সচেতন হওয়া। আমরা যারা ঈদে বাড়ি যাচ্ছি সবাই খেয়াল রাখব যেন আমাদের বাসার ভেতরে বালতি, বদনা, গাছ বা ফুলের টব এগুলো যেন উল্টে যাই, এগুলোতে পানি জমতে না পারে। জানালার পর্দা ভাঁজ করে যাই পারলে এ্যারোসল ছিটিয়ে যাই। কমোডের ঢাকনা যেন নামিয়ে যাই। মোটরসাইকেলে মশার মেশিন লাগানো সম্পর্কে মেয়র বলেন, মশককর্মীদের জন্য এটাই চেয়েছিলাম। হেঁটে হেঁটে ওষুধ দিতে হয় বলে তাদের অনেক অভিযোগ শুনতাম। এখন আর তা থাকবে না। একবার ওষুধ দেয়া শেষ হলে অফিসে এসে দ্রুত রিফিল করে ফের ওষুধ দিতে যেতে পারবে তারা। এরপর টাউন হল এলাকার বাজারের বিভিন্ন দোকান, আবাসিক ভবন এবং অলিগলিতে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন মেয়র। তখন ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং মশার প্রজননস্থল হতে পারে এমনকিছু স্থান চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
×