ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষণের অভিযোগ থেকে নেইমারের মুক্তি

প্রকাশিত: ১০:১০, ১০ আগস্ট ২০১৯

ধর্ষণের অভিযোগ থেকে নেইমারের মুক্তি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুঃসময় আর কাকে বলে। জাতীয় সতীর্থরা নিজ দেশ ব্রাজিলের হয়ে কোপা আমেরিকা জিতেছেন। ক্লাব দল পিএসজিও মৌসুম প্রস্তুতির ফরাসী কাপ জিতেছেন। আর নেইমার চোট ও দলবদল নিয়ে ঝামেলায় খেলতেই পারেননি কোন টুর্নামেন্টে। এখানেই শেষ নয়, নেইমারকে সংগ্রাম করতে হয়েছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতেও। কেননা তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে গত জুন মাসে মামলা করা হয়। সেই মামলা নিয়ে গত দুই মাস মানসিক যন্ত্রণায় ছিলেন সাবেক বার্সিলোনা তারকা। গত মাসের শেষে ধারণা পাওয়া যায় মামলা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন নেইমার। অবশেষে সেটাই হয়েছে। নেইমারের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম বন্ধে প্রসিকিউটরদের করা সুপারিশ মেনে নিয়েছেন ব্রাজিলের বিচারক। অর্থাৎ প্রমাণের অভাবে এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন নেইমার। শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। গত ৩০ জুলাই ব্রাজিলের সাওপাওলোর পুলিশ জানায়, এই মামলার চার্জ গঠন করা যাচ্ছে না প্রমাণের অভাবে। তখনই এক প্রকার নিশ্চিত হয়েছিল মুক্তি মিলছে নেইমারের। সাওপাওলোর দুই প্রসিকিউটর পুলিশের নেয়া এই মামলায় চার্জ গঠন না করার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। যে কারণে মামলার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারক। সংবাদ সম্মেলনে সাওপাওলোর দুই প্রসিকিউটর জানান, যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় আমরা মামলাটির কার্যক্রম বন্ধের সুপারিশের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিলাম। পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা মামলাকারীকে তার ফোনটিকে একটি কম্পিউটারে যুক্ত করতে বলেছিলেন। যেন তিনি ভিডিওটি দেখতে পারেন। কিন্তু সে তা করতে চায়নি। উল্টো সে তার ফোন হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে। আর পরবর্তীতে সে জানায় যে তার ফোনটি চুরি হয়ে গেছে। এর আগে নেইমারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে প্রায় ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ব্রাজিলীয় পুলিশ। মে মাসে প্যারিসের একটি হোটেলে সাক্ষাত করতে যাওয়া এক মহিলাকে নেইমার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সাওপাওলোর পুলিশ প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই নারীর অভিযোগ ছিল প্যারিসের এক হোটেলে মে মাসে যৌন নিপীড়নের ঘটনাটি ঘটে। প্যারিসের এক হোটেলে নেইমারের দল পিএসজির খেলোয়াড়রা অবস্থান করছিলেন। তখনই নাকি টাকার লোভ দেখিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন নেইমার। তবে নেইমারের পক্ষ থেকে অভিযোগটি অস্বীকার করে বলা হয়, ভয় দেখিয়ে তার কাছ টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পরিচয়ের সূত্র ধরে নেইমার ওই নারীকে প্যারিসের একটি হোটেলে দেখা করতে আসতে বলেন। ব্রাজিল থেকে ফ্রান্সে আসার বিমান টিকেট ও হোটেলের ভাড়াও নেইমার দেন। ১৫ মে যখন নেইমার হোটেলে আসেন তখন তিনি ‘মাতাল’ ছিলেন। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে তিনি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং ওই নারীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোর করে যৌন মিলন করেন। ফরাসী পুলিশকে অভিযোগ না করে নারীটি দুইদিন পর ব্রাজিলে ফিরে আসেন। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, মানসিকভাবে দুর্বল ছিলেন এবং অন্য দেশে এ বিষয়ে অভিযোগ করতে চাননি। খবরটি চাউর হওয়ার পর বিস্ময় প্রকাশ করে নেইমার তা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। অবশেষে জয় হয়েছে ব্রাজিলিয়ান তারকারই।
×