ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জন্মজয়ন্তী ॥ নড়াইলে নানা কর্মসূচী

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ১০ আগস্ট ২০১৯

 আজ বরেণ্য চিত্রশিল্পী  এস এম সুলতানের  জন্মজয়ন্তী ॥ নড়াইলে নানা কর্মসূচী

রিফাত-বিন-ত্বহা, নড়াইল থেকে ॥ শুধু রং তুলির স্পর্শে তিনি সৌন্দর্য অন্বেষণ করেননি, বাস্তবেও প্রমাণ দিয়েছেন ভালবাসার। তাই ঢাকার ফুটপাথ থেকে দুর্লভ নাগালঙ্গম বৃক্ষ নিধন হতে দেখে তার চোখ প্লাবিত হয়েছিল। বলতেন, এ তো একটি বৃক্ষের নিঃশেষ নয়, গোটা জীবনের পরিসমাপ্তি। সেই মহান মানুষটি হলেন শিল্পী এসএম সুলতান। পুরোনাম শেখ মোহাম্মদ সুলতান। তবে, নড়াইলবাসীর কাছে তিনি ‘লাল মিয়া’ হিসেবে সমধিক পরিচিত। আজ ১০ আগস্ট শনিবার। বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৫তম জন্মজয়ন্তী। এ বছর দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশন নড়াইলে বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করেছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে শিল্পীর মাজার জিয়ারত, মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কোরানখানি, দোয়া, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা। শিল্পী জন্মে ছিলেন সবুজ স্নিগ্ধতায় ছাওয়া নড়াইলের উপকণ্ঠে। ১৯৮১ সালে শিল্পকলা একাডেমির আবাসিক আর্টিস্ট হিসেবে মনোনয়ন। ঢাকাতে দ্বিতীয় একক চিত্র প্রদর্শনী ১৯৮২ সালে। ওই বছরই নড়াইলে শিশু স্বর্গ’র উদ্ধোধন। ১৯৮৩ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার ওই বছরের বিশ্বের সেরা কৃতী মানব হিসেবে আখ্যা দেন তাকে। ঢাকার জার্মান কালচারাল ইনস্টিটিউটে তৃতীয় একক চিত্র প্রদর্শনী হয় ১৯৮৭ সালে। ১৯৮৮ সালে তিনি পান একুশে পদক। ১৯৯৩ সালে ঢাকায় আর্ট খ্যাতনামা শিল্পীর পাশাপাশি সুলতানের চিত্রকর্মও প্রদর্শিত হয়। ক্ষণজন্মা চির কুমার বরেণ্য এই শিল্পী ছবি এঁকেছেন দু’হাতে। ব্যবহার করেছেন দেশজ ও লতাপাতা শেকড়ের নির্যাস থেকে সংগৃহীত রং। মোট ছবির সংখ্যা তিনি নিজেও জানতেন না। তবে লক্ষাধিক হবে। যা তিনি কখনও সংরক্ষণের তাগিদ অনুভব করেননি। যাকে খুশি তাকে দিয়েছেন অকাতরে। নড়াইলে তার শিশু স্বর্গ, যেখানে বাস করতেন, সেখানে বৃক্ষ এবং দুর্লভ ফুলে ভরা ছিল। ছিল বহু পাখি ও জীব জন্তু। তাদের নিজ হাতে তিনি সেবা করতেন। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর অসুস্থ অবস্থায় যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রিয় জন্মভূমি নড়াইলের কুড়িগ্রামে তাকে শায়িত করা হয়।
×