ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় কোরবানির হাটে ইজারাদারের দৌরাত্ম্য

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ১০ আগস্ট ২০১৯

 নওগাঁয় কোরবানির হাটে ইজারাদারের  দৌরাত্ম্য

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৯ আগস্ট ॥ আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সকল নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নওগাঁর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ইজারাদারদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। অতিরিক্ত টোল আদায় করে পশুর হাটের ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই ঠকাচ্ছে। কেউ অতিরিক্ত টোল দিতে না চাইলে তাদের কাছ থেকে জোড় করে তা আদায় করা হচ্ছে। হাটগুলোতে পশুর ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের নিকট থেকেই অস্বাভাবিক হারে টোল আদায় করা হলেও যেন বিষয়টি দেখার কেউ নেই। সাপাহার উপজেলার সীমান্তবর্তী মিরাপাড়া দীঘির হাট, সাপাহার উপজেলা সদরের বিশাল হাট, ওমইল হাট, মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরী হাট, মাতাজী হাট, মহাদেবপুর সদর হাট, মান্দার চৌবাড়িয়া হাট, বদলগাছীর কোলা হাট, নিয়ামতপুরের ছাতড়া হাট, ধামইরহাট সদর, রানীনগরের ত্রিমোহানী হাটে অধিক টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এসব হাটের ইজারাদাররা নিজেদের ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে প্রভাব খাটিয়ে এমন অনিয়ম করে চলেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, উল্লেখিত হাটগুলোতে ইজারাদাররা গরু-মহিষের জন্য সরকার নির্ধারিত টোল ৫শ’ টাকার পরিবর্তে দ্বিগুণেরও বেশি টোল আদায় করা হচ্ছে। ছাগল-ভেড়ার ক্ষেত্রে শতকরা ১০ টাকা হারে এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়। পশু বিক্রেতার কাছ থেকে কোন অর্থ নেয়ার নিয়ম না থাকলেও প্রতি বিক্রেতার কাছ থেকে ২০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। আইন বহির্ভূতভাবে পশুর টোল আদায় করা হলেও স্থানীয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এছাড়া প্রতিটি পশুর হাটের প্রবেশ পথে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী গবাদি পশুর টোল আদায়ের তালিকা টাঙানোর কথা থাকলেও অদ্যাবধি এসব হাটে তা টাঙানো হয়নি। প্রতি হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়কে কেন্দ্র করে গবাদি পশুর ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে ইজারাদারের লোকজনের প্রায় বাগবিত-া লেগেই থাকে। তবে কে শোনে কার কথা।
×