ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ফ্রান্সের সমর্থন চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ১২:২৬, ৯ আগস্ট ২০১৯

 রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে  ফ্রান্সের সমর্থন  চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ‘জাতিগত নিধনের’ বিরুদ্ধে ফ্রান্সের শক্ত অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বাংলাদেশে ঠাঁই নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ফ্রান্সের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের আবাসিক রাষ্ট্রদূত জেঁ-মারিন স্কুহ বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র প্রদানকালে তিনি একথা বলেন। খবর বাসসর। বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতকে অভ্যর্থনা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে ফ্রান্স রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দেশটির ওপর চাপ বাড়াবে।’ রাষ্ট্রপতি বৈঠককালে বলেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং এটা ধীরে ধীরে আরও জোরদার হচ্ছে। বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন আমলে ৭০এর দশক থেকে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক বিরাজমান রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ইউরোপের অন্যতম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ফ্রান্সের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশের মুক্ত বিনিয়োগ নীতির কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট হামিদ আগামী দিনে এদেশে ফ্রান্সের আরও বিনিয়োগ কামনা করেন। এর আগে, রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে এসে পৌঁছলে আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর)-এর একটি চৌকস অশ্বারোহী দল তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। তিন দেশের দূতের পরিচয়পত্র পেশ ॥ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের কাছে বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে দু’জন অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও একজন অনাবাসিক হাইকমিশনার পৃথক পৃথকভাবে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হলেন, বাহরাইনের আহমেদ আবদুল্লাহ আহমেদ আলহারমাসি আলহাজেরি ও লাওসের বনিম চুয়ানঘুম এবং সেশেলের হাইকমিশনার থমাস সেলবি পিল্লাই। সাক্ষাত শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বলেন, দূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দূতদের স্ব স্ব দায়িত্বের মেয়াদে আরও সম্প্রসারিত হবে। রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ উল্লেখ করে সব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে যোগাযোগ, জ্বালানি ও প্রযুক্তি খাতে বিদেশী বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে উদার বিনিয়োগ নীতি অনুসরণ করে থাকে। রাষ্ট্রপতি বিদ্যমান সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে এখানে বিনিয়োগ করতে তাদের নিজ নিজ দেশের বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করার আহ্বান জানান। দূতরা ঢাকায় তাদের দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দূতরা বঙ্গভবনে এসে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস অশ্বারোহী দল তাদের গার্ড অব অনার জানায়।
×