ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের কেনাবেচা নেই যশোরের মার্কেটে

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ৯ আগস্ট ২০১৯

ঈদের কেনাবেচা নেই যশোরের মার্কেটে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ঈদ-উল- আজহাকে সামনে রেখে দেশী-বিদেশী পোশাক ও প্রসাধনীতে সেজেছে যশোরের শপিং সেন্টারগুলো। তবে ঈদের মাত্র ৪ দিন বাকি থাকলেও এখনও জমে উঠেনি। স্বাভাবিক দিনের মতোই শপিং সেন্টারগুলোতে চলছে কেনাকাটা। তবে ঈদ-উল-ফিতর অপেক্ষা ঈদ-উল-আজহায় পোশাক ও প্রসাধনী বেচাকেনা বরাবরই কম হয় বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বুধবার যশোর শহরের কাপুড়িয়া পট্টি, চুড়িপট্টি, সিটি প্লাজা, মুজিব সড়ক ও নিউমার্কেট ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। সরেজমিন দেখা যায়, প্রতিবারে মতো এবারও বিভিন্ন মানের ও দামের পোশাক দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়; ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য বিদেশী সিনেমা ও সিরিয়ালের জনপ্রিয় চরিত্রের নামে পোশাক আনা হয়েছে। তবুও ক্রেতাদের টানতে পারছেন না দোকানিরা। এ বিষয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে কেনাবেচা মোটামুটি হচ্ছে। বেচাকেনা আরও ভাল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রেতারা পোশাক ও প্রসাধনী কিনতে ভারতে চলে গেছে বলে কিছুটা কম হচ্ছে। তবে সামনের দিনগুলোতে বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা। কাপুড়িয়া পট্টির ছিট কাপুড়ের দোকান এইচএম ক্লথ স্টোরের মালিক আবু হোসেন বলেন, যশোরে এখনও ঈদের আমেজ শুরু হয়নি। ঈদ উপলক্ষে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। গ্রাম অঞ্চলের ক্রেতারা কেনাকাটা করতে শহরে না আসাই বাজার জমেনি। তবে এই ঈদে বেচাকেনা রোজার ঈদের মতো হয় না। চুড়িপট্টির ময়না কসমেটিক্সের মালিক মেহেদী হাসান বলেন, ঈদ উপলক্ষে কেনাবেচা নেই বললেই চলে। কোরবানি ঈদে বিক্রি কম হয়। তবে এবার একটু বেশিই কম হচ্ছে। মার্কেটগুলোতে আগত ক্রেতারা বলছেন, কোরবানির ঈদের প্রধান আকর্ষণ থাকে কোরবানির পশু। তাই এ ঈদে পোশাক ও প্রসাধনী কেনাকাটা তেমন হয়নি। তবে শিশুদের জন্য কেনাকাটা কিছুটা হলেও, বড়দের জন্য তেমন একটা হয় না। আবার অনেকে রোজার ঈদের কেনাকাটার সঙ্গে কোরবানির ঈদের কেনাকাটাও সেরে ফেলেন। সব মিলেয়ে মার্কেটগুলোতে ঈদের তেমন একটা আমেজ থাকে না। কালেক্টরেট মার্কেটের আবির ফ্যাশনের সামনে কথা হয় ঝিকরগাছার শামিমা খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, তেমন কিছু ক্রয় করেননি। রোজার ঈদেই সবার জন্য পোশাক কেনা হয়েছে। ছোট ছেলের জন্য পাঞ্জাবি কিনব বলে এসেছি। শহরের সিটি প্লাজায় কেনাকাটা করতে আসেন শিলা খাতুন নামে এক গৃহবধূ। তিনি বলেন, ঈদে নিজের ছেলে ও ভাসুুরের ছেলের জন্য কেনাকাটা করেছি। বড়দের জন্য কোরবানির ঈদের কেনাকাটা করা হয় না।
×