ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ৯ আগস্ট ২০১৯

ঝলক

বাঁচিয়েছেন ২৪ লাখ শিশুর জীবন! অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক জেমস হ্যারিসন গত ৬০ বছর ধরে রক্তদান করে চলেছেন। তাকে দুনিয়ার সবাই ম্যান উইদ দ্য গোল্ডেন আর্ম নামেই চেনে। অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ২৪ লাখ শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছেন জেমস। তার রক্ত একেবারে অনন্য। রোগ প্রতিরোধকারী এ্যান্টিবডি রয়েছে তার রক্তে। যা থেকে এ্যান্টি-ডি নামের ইঞ্জেকশন তৈরি করা হয়েছে, যা রেসাস রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, রেসাস এমন একটি মারাত্মক রোগ যা সন্তান সম্ভবা শরীরে প্রবেশ করে এ্যান্টিবডি নষ্ট করে গর্ভস্থ শিশুর রক্তের কোষ ভেঙ্গে ফেলে। এই রোগ প্রতিরোধকারী ইঞ্জেকশন তৈরির জন্য চিকিৎসকেরা জেমসের রক্তের প্লাজমা ও লাল রক্তকণিকা সংগ্রহ করেন। যে কারণে মাঝে মাঝে প্রতি সপ্তাহেই রক্তদান করতে হয়। অস্ট্রেলিয়ান রেডক্রস ব্লাড সার্ভিসের জেম্মা ফকেনমায়ারের মতে, রক্তের প্রতিটা ব্যাগ গুরুত্বপূর্ণ। এই রক্ত অত্যন্ত মূল্যবান। এই রক্ত থেকে জীবনদায়ী ওষুধ তৈরি হয়। রোগাক্রান্ত মায়েদের দেয়া হয় এই রক্ত। -সিএনএন একসঙ্গে আইন পড়ছে বাবা-মেয়ে! বর্তমানে বেশিরভাগ ছেলে-মেয়েই স্কুল-কলেজে মা-বাবার যাতায়াত এড়িয়ে চলতে চায়। কখন কোন গোপন বিষয় জেনে যাবে সেই আশঙ্কা তাদের মনে। ঝুঁকি এড়াতে তারা চায় মা-বাবা যেন বাড়িতেই থাকে। তবে, সবাই এক নয়। কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম সহজেই নজরে পড়ে। এমনই এক বাবা-মেয়ের ঘটনা সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। খবর হয়েছে বড় বড় সংবাদমাধ্যমেও। ঘটনাটি ভারতের। মুম্বাইয়ের একটি কলেজে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন এ বাবা-মেয়ে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ক্লাসের হিসাবে বাবা তার মেয়ের জুনিয়র। হিউম্যানস অব বোম্বে নামে একটি ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হয়েছে এ ঘটনা। বাবা-মেয়ের ছবিযুক্ত ওই পোস্টে মেয়ের ভাষ্যে জানানো হয়, বাবার ছোটবেলা থেকেই আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেয়ার ইচ্ছা ছিল। তবে আর্থিক সঙ্কটে সে আশা তখন পূরণ করা হয়নি। পরে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করেন তিনি। মেয়েটি জানায়, আইন বিষয়ে পড়া শুরুর পর থেকেই সে খেয়াল করে, তার কোর্সের ওপর বাবার খুব আগ্রহ। প্রতিদিনের ক্লাস, সাবজেক্টসহ যা যা করত, সব জানতে চাইতেন বাবা। এক সময় পরিবারের সবার মনে হয়, বাবার হাতে যেহেতু সময় আছে, তিনি আবার কলেজে ভর্তি হয়ে আইন পড়া শুরু করতে পারেন। মেয়েটি জানায়, বিশ্বাস করুন বা না করুন, এখন আমি ও বাবা একই কলেজে পড়ি। আর, তিনি আমার জুনিয়র। ফেসবুকে এ পোস্টটি করার পরপরই সেটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। বেশিরভাগ মানুষই তাদের এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। -ওয়েবসাইট
×