ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ৯ আগস্ট ২০১৯

উবাচ

বাংলাদেশী মশা স্টাফ রিপোর্টার ॥ আমরা ইলিশ দিতে চাই না বলে দিদি গোস্বা করে পানি দিতে চান না। কিন্তু দিদি পানি যদি নাই দেন ইলিশ ডিম পাড়বে কোথায়। যা ছিটে ফোটা পানি আসে ওখানে তো ইলেশের ডিম পাড়া কঠিন কিন্তু এডিস মশার ডিম পাড়া সহজ। কারণ এই মশা নাকি এক চা চামচ পানিতেও ডিম পাড়তে পারে। এখন আপনার পানিতে ডিম পাড়ার পর কেন সব মশা আমাদের এখানেই থাকবে। এই মশার অংশীদার তো আপনিও। আপনাকেও তো কিছু না কিছু ভাগ নিতেই হবে। তবে আর এ নিয়ে এত কথা কেন। পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন তার রাজ্যে ডেঙ্গু ছড়ানোর পেছনে বাংলাদেশের মশার ভূমিকা থাকতে পারে। তিনি বলেছেন বাংলাদেশে খুব ডেঙ্গু হচ্ছে। আমাদের বাড়তি সাবধানতা নিতে হবে। সীমান্ত এলাকায় মশা ওপার থেকে এপারে আসে। আবার এপার থেকে ওপারে যায়। দুই পারেই বহু মানুষ যাতায়াত করে। এ রাজ্যে ডেঙ্গু ছড়ানোর পেছনে বাংলাদেশের মশার ভূমিকা থাকতে পারে। এক কাজ করতে পারেন কিনা দেখেন সীমান্ত সিল করে দিয়ে মশাকে আর পশ্চিম বাংলায় প্রবেশই করতে দিলেন না। তবে তো আর চিন্তা নেই। বাংলাদেশের মশাও থাকবে না ডেঙ্গুও হবে না। ডেঙ্গু তত্ত্ব! স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে চায় বিএনপি। কিন্তু মিলেমিশে কাজ করতে গেলে তো মহব্বত থাকতে হবে, কথায় মাধুর্য থাকতে হবে। শুরুতেই যদি বলা হয় আপনারা অনেক খারাপ ডেঙ্গুর চেয়ে ভয়ঙ্কর। তাহলে মশা মারতে আপনাকে সঙ্গী করতে কে রাজি হবে। তারাও তো উল্টো বলতে পারে আপনারাও মশার চেয়ে ভয়ঙ্কর। ডেঙ্গু হলে তো চিকিৎসায় ভাল হয় আপনারা কামড়ালে চিকিৎসকও কিছু করতে পারবে না। বিএনপি ডেঙ্গু নিয়ে আকস্মিক আন্তরিক হয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু সরকারের কেউ তাদের আহ্বানে সাড়া দিচ্ছেন না। আচ্ছা সমালোচনা ছাড়া বিএনপি একা একা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কি করছে। পাড়া মহল্লার বউরা যখন ফগার মেশিন কিনে মাঠে নেমেছে এডিস মশা মারতে তখন বিএনপি কেন বসে আছে। নির্বাচন কমিশনের জমা দেয়া হিসাব বিবরণীতে তো টাকার অভাব নেই। সেই টাকার কিছু অংশ কি খরচ করা যেত না। নাকি রাজনীতিতে সঙ্গী ছাড়া যেমন উঠতে বসতে পারে না ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণেও তাই। সরকারকে সঙ্গে না পেলে তারা কিছুই একা করতে পারবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় বলেছেন, এডিস মশা আওয়ামী লীগকেও চিনে না, বিএনপিও চিনে না, সরকারী দল চিনে না, ডাক্তারও চিনে না, ইঞ্জিনিয়ারও চিনে না, ধনীও চিনে না, গবিবও চিনে না। এদের সুযোগ দিলে সুযোগটা পায়। এই ডেঙ্গু সমস্যার সমাধান মিলেমিশে করতে হবে, সম্মিলিতভাবে করতে হবে। কিন্তু এই সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ডেঙ্গু বনাম খুন-গুম-নারী নির্যাতন। এই দুইটা যদি প্রতিযোগিতা হয়, দেখা যাবে ডেঙ্গু এখনও শিরোপা অর্জন করে নাই। ডেঙ্গুতে এই পর্যন্ত যতজন মারা গেছে, তার চেয়ে গুম-খুন-নারী নির্যাতনে লাশের মিছিল অনেক বড়। তাহলে ডেঙ্গুর চেয়ে ভয়াবহ কে? এই সরকার। তারা ডেঙ্গুর চেয়েও ভয়ানক। এভাবে কি আর একসঙ্গে কাজ করা যাবে। কাজ করতে গেলে তো সহযোগিতার মনোভাব থাকতে হবে। লম্বা লম্বা জামা স্টাফ রিপোর্টার ॥ জার্মানির হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার কথা মনে আছে নিশ্চয়ই সকলের। পৃথিবীর বহুল পঠিত এই গল্পে একজন বাঁশিওয়ালা হ্যামিলনবাসীকে মুক্তি দিয়েছিল ইঁদুরের হাত থেকে। এরপর মেয়র সেই বাঁশিওয়ালাকে পুরস্কারের বদলে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। কালে কালে নগরপিতারা বুঝি এমনই হয়। চিন্তা করুন ওই মেয়র যদি শহরকে আগে থেকে পরিচ্ছন্ন রাখতেন তাহলে কী ইঁদুর বাসা বাঁধতে পারত? যখন ইঁদুর বাসা বাঁধে মানুষজন চিৎকার করে। যখন মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয় মানুষের পর মানুষ মরে তখনই নগরের পিতার হুঁশ হয়। এজন্য মেয়র হওয়ার আগে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা গল্পটি পড়া উচিত। হ্যামিলনবাসীর কপাল ভাল যে তারা মেয়রের সঙ্গে বাঁশিওয়ালাকেও পেয়েছিলেন। আমাদের কপাল খারাপ আমরা শুধু মেয়র পেয়েছি, এডিস মশা পেয়েছি। আমাদের কোন বাঁশিওয়ালা নেই। আমাদের একজন মেয়র অবশ্য ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে লম্বা জামা-পায়জামা ও মোজা পরার পরামর্শও দিয়েছেন। মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন আল্লাহ তায়ালা মাফ করলে দ্রুত ডেঙ্গুমুক্ত শহর নিশ্চিত করতে পারব। আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিকে ডেঙ্গমুক্ত করতে পারব ইনশাল্লাহ। তাহলে তো আরও এক মাস। এই এক মাসই কি লম্বা লম্বা জামা পরতে হবে।
×