ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

-সিদ্দিক;###;রুহুল আমিন ভূঁইয়া

‘নাটকে অস্থির সময় চলছে’

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ৮ আগস্ট ২০১৯

‘নাটকে অস্থির সময় চলছে’

বিভিন্ন জটিলতায় আবদ্ধ বর্তমান সময়ের টেলিভিশন নাটক । দিনকে দিন দর্শক আগ্রহ হারাচ্ছে। নাটক কথাটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। নাটক প্রাণের জায়গা। নাটক আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। একজন অভিনেতা হিসেবে মনে করি নাটকের জায়গা আরও মজবুত হওয়া দরকার। পা-ুলিপি ও নির্দেশনার জায়গা থেকে আরও মজবুত করতে হবে। বর্তমানে যারা নাটকের সঙ্গে যুক্ত তাদের বলতে চাই নাটকবাজি বাদ দিয়ে বিষয়টা শিল্পের চোঁখে দেখুন। শৈল্পিক দৃষ্টি নিয়ে নাটক নির্মাণ করুন। আমরাই এক সময় ভাল নাটক উপহার দিয়েছি এবং এখন আমরাই খারাপ নাটক করছি। প্রত্যক অভিনেতা-অভিনেত্রীকে ব্যবহার করতে হবে। একজন পরিচালকের উপর সবকিছু নির্ভর করে। নাটকের অস্থিরতা নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। বিষয় গুলো নিয়ে একা চেষ্টা করলে হবে না। প্রতিটি শিল্পী থেকে শুরু করে নাটকে যুক্ত সকলকে যার যার অবস্থান থেকে চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই নাটকের সুদিন ফিরবে। আসুন সবাই মিলে নাটককে শৈল্পিক দৃষ্টিতে দেখে সুন্দর জায়গায় নিয়ে যাই। এমনিতেই নাটকের অস্থির সময় যাচ্ছে। এছাড়াও সম্প্রতি একটি বিষয় লক্ষ্য করছি যে প্রতিটি ঘরে ঘরে ডিরেক্টর। লালমনিরহাট থেকে শুরু করে কক্সবাজার পর্যন্ত সবাই ডিরেক্টর ও শিল্পী। যে কেউ যা তা বানিয়ে ইউটিউবে ছেড়ে দিচ্ছি। নাটকের সঙ্গে আমরা যারা মূল জড়িত সবাইকে সতর্ক হতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে সতর্ক হই এবং এমন কিছু বানাব না, যেগুলো নাটক কিংবা আমাদের শিল্পকে ধ্বংস করবে। আমরা সবাই সতর্ক হলে শিল্পটি রক্ষা হবে। আমরা শিল্পী হিসেবে নিজেকে অনেক বড় একটি জায়গা দাবি করতে পারব। নাটক কিংবা ইউটিউবের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছে আমার অনুরোধ, আসুন সবাই মিলে শিল্পটা বাঁচাই, নিজে বাঁচিও দেশটাকেও বাঁচাই। ইউটিউবের জন্য সেন্সর সময়ের দাবি। কেননা বর্তমানে অখাদ্য কু-খাদ্য বানিয়ে ইউটিউব ছেড়ে শিল্পকে ধ্বংস করা হচ্ছে। নাটকে বাড়ছে অশ্লীলতা। অশ্লীল সংলাপ, পোশাক ও বিভিন্ন ধরনের সুড়সুড়ি দৃশ্য দিয়ে দর্শককে আকৃষ্ট করার প্রতিযোগিতা চলছে। গল্প ও শিল্পীদের চরিত্রের চেয়ে এসব নির্মাতার টার্গেট এখন ইউটিউব ভিউয়ার্স। ভিউয়ার্স বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় মেতে তারা যা-তা নির্মাণ করছে। প্রমিত ভাষার মতো আঞ্চলিক ভাষারও সৌন্দর্য আছে। তবে কোন অবস্থাতেই নাটকে আঞ্চলিক ভাষার নামে যেন ভাষার বিকৃতি না হয় এমন পরামর্শ এ অভিনেতার। নাটক সংশ্লিষ্ট অনেকের অভিমত, প্রতিযোগিতার নামে কোন কোন নির্মাতা কিংবা অভিনয়শিল্পী অকারণে এত বেশি খোলামেলা হচ্ছে তা চোখে লাগার মতো। সময়ের কিছু খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে তারা। এগুলো থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে দর্শক ভিন দেশের সংস্কৃতির দিকেই ঝুঁকে পড়বে।
×