জনগণের কল্যাণে সকলকে একত্রে কাজ করা উচিত ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে ডেঙ্গু সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু সমস্যা সমাধানে সরকার নিজের ব্যর্থতা ঢাকার অপচেষ্টা করছে। ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতির জন্য দুই সিটি কর্পোরেশন দায়ী নয়, তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করেছে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, জনগণের কাছে বর্তমান সরকারের কোন দায়বদ্ধতা নেই। কারণ, তারা জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। সে জন্যই তারা যা খুশি বলতে পারে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের যে দায়িত্ব পালন করার কথা, সেটা তারা পালন করবে না এটাই স্বাভাবিক। ফখরুল বলেন, ডেঙ্গুকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কর্মকর্তারা প্রথম দিকে কোন গুরুত্বই দেননি। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা নিয়ে কেউ কিছু বললে তারা তা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন এটা নাকি গুজব। কিন্তু এখন এটা সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। শুধু ঢাকাতে নয়, সারাদেশে মহামারী আকারেই ছড়িয়ে পড়েছে। একটা জেলাও বাদ নেই। আমরা এ জন্যই বলেছিলাম, অবিলম্বে ডেঙ্গুকে আপদকালীন সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে জরুরী ব্যবস্থা নেয়ার কথা। কিন্তু আমাদের কথা তখন আমলে নেয়া হয়নি। ফখরুল বলেন, সরকারকে আমরা বলেছিলাম, ডেঙ্গু মোকাবেলায় রাজনীতি বাদ দিয়ে জনগণের কল্যাণের জন্য সকলের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। কিন্তু যতগুলো জাতীয় সমস্যা এসেছে, কোন সমস্যাতে আওয়ামী লীগ অন্যান্য দলকে সম্পৃক্ত করেনি। তারা একলা চলা নীতিতে বিশ্বাস করে। সে কারণে তাদের বড় ধরনের ভুল হতে থাকে। সারাদেশে ডেঙ্গু আতঙ্ক চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ব্যক্তিভাবে দুইদিন ধরে আমার শরীরে ব্যথা ছিল, আমি দুইবার টেস্ট করিয়েছি। এই বয়সে যদি ডেঙ্গু হয় তাহলে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। ফখরুল বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আজ নাটক চলছে, চলছে ফটো সেশন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব নিজেই রাস্তা ঝাড়ু দিলেন। আবার তিনিই বললেন ফটো সেশন করা চলবে না। আমরা সাধারণ মানুষ এগুলো দেখছি আর কি। অতি সম্প্রতি এবি সিদ্দিকীর দায়েরকৃত মামলায় বিএনপি মহাসচিবসহ ক’জন সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিস্মিত হয়েছি। আসলে এই ধরনের একটা মামলা হবে আমরা চিন্তাই করতে পারিনি। মামলাটি সম্পূর্ণভাবে বানোয়াট। আমার কাছে মামলার কপি আছে। এখানে এক এবি সিদ্দিকী, তাকে আমি কোনদিন দেখিওনি। যদিও তিনি ইতিপূর্বে ৩/৪টা মামলা করেছেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জিয়ার বিরুদ্ধেও ৫টি মামলা করেছেন। মামলা করাই তার পেশা।