ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রণোদনা দেয়ায় ২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স আসবে

প্রকাশিত: ১১:০৪, ৮ আগস্ট ২০১৯

প্রণোদনা দেয়ায় ২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স আসবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দুই শতাংশ প্রণোদনা দেয়ায় চলতি অর্থবছরে ২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেই কোন অনুমোদন ছাড়াই সেসব পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারবে টিসিবি। সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় এটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা আরও সুসংহত এবং যে কোন ধরনের নাশকতা দমনে সক্ষমতা বাড়াতে একটি ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডেটা ইন্টারসেপ্টর সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরপরই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রণোদনা দেয়ায় রেমিটেন্স বেশি আসবে। ইতোমধ্যে প্রবাসীরা বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ইতালি, সৌদি আরবসহ কিছু দেশ ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্সের ওপর চার্জ বসিয়েছে। তাই প্রবাসীরা হুন্ডির মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠিয়ে থাকেন। শতকরা ২ ভাগ প্রণোদনা দেয়ার ফলে তারা আর হুন্ডির মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাবেন না। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে সেটি বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলাব হবে বলে আশা করছি। যারা রেমিটেন্স পাঠান তাদের কিভাবে প্রণোদনা দেয়া হবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, যে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাবেন সে ব্যাংকগুলোই তাদের প্রণোদনার অর্থ দেবে। পরবর্তীতে ব্যাংকগুলোকে সরকার সে অর্থ পরিশোধ করে দেবে। উল্লেখ্য, কোন প্রবাসী এক হাজার ৫০০ ডলার রেমিটেন্স পাঠালে তাকে কোন প্রশ্ন না করে পাঠানো অর্থের বিপরীতে শতকরা ২ ভাগ আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। কিন্তু কেউ যদি এর বেশি অর্থ পাঠান তার কাছে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হবে। তবে রেমিটেন্স পাঠানোর কোন উর্ধসীমা বা আপার লিমিট থাকবে না বলে জানা গেছে। প্রয়োজনে অনুমোদন ছাড়া পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি ॥ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেই কোন অনুমোদন ছাড়াই সেসব পণ্য সংগ্রহ করে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এতদিন শুধু চিনি, ডাল, ভোজ্যতেল, ছোলা আর খেজুর ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতো সংস্থাটি। তাও এসব পণ্য সংগ্রহে সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের প্রয়োজন হতো। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, কেনাকাটায় কোন আর্থিক সীমাবদ্ধতা নেই। নিরাপত্তা নিশ্চিতে আসছে ডাটা ইন্টারসেপ্টর ॥ জাতীয় নিরাপত্তা আরও সুসংহত এবং যে কোন ধরনের নাশকতা দমনে সক্ষমতা বাড়াতে একটি ভেহিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টর সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এই সিস্টেমটি ক্রয়ে একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ১২৭৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও চারটি ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে তুলে ধরেন। এছাড়া বেলারুশ থেকে পটাশ আমদানি, বিদ্যুত ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (সংশোধন) আইন ২০১৮এর আওতায় রূপকল্প-২ শীর্ষক প্রকল্পের অধীন জকিগঞ্জ-১ কূপ খনন কার্যক্রমের জন্য ড্রিল বিট, কেসিং এক্সেসরিস ও লিনার হেঙ্গার ক্রয়ের প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়ছে। এতে ব্যয় হবে এক কোটি ৮৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩০০ টাকা।
×