ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

হাইকমিশনার বহিষ্কার

ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য ছিন্ন, কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস

প্রকাশিত: ১১:০৩, ৮ আগস্ট ২০১৯

ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য ছিন্ন, কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস

তানিয়া হক ভূইয়া ॥ ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় ‘ক্ষুব্ধ’ হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। ঘটনার একদিন পর বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করেছেন। পাশাপাশি তিনি নয়াদিল্লীতে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠান। ইমরান খান ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করারও ঘোষণা দেন। এদিকে চীন একই কারণে মানস সরোবরে যেতে তীর্থযাত্রীদের ভিসা দেয়নি। অন্যদিকে বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের রাজধানী শ্রীনগরে বুধবার বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের তাড়া খেয়ে এক বিক্ষোভকারী নদীতে ডুবে মারা গেছে। খবর ডন, আনন্দবাজার ও ইন্ডিয়া টাইমসের। কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের জেরে চির প্রতিদ্বন্দ্বী এই প্রতিবেশী দুই দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বন্ধের পাশাপাশি কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। নরেন্দ্র মোদির সরকার কাশ্মীরের ভারত নিয়ন্ত্রিত অংশের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা রদ করে কেন্দ্রের শাসন জারির প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ এলো। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ দাবি করে, আবার দুই দেশই কাশ্মীরের একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ করে। আরেক বড় প্রতিবেশী চীনও কাশ্মীরের একটি অংশের দাবিদার। পাকিস্তানের পাশাপাশি চীনও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তবে পাকিস্তানের বাণিজ্য বন্ধ ও কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার ঘোষণা নিয়ে ভারত সরকারের কোন প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ইসলামাবাদে জাতীয় সুরক্ষা কমিটি (এনএসসি) বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হচ্ছে। এরই সঙ্গে পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কৃত করা হবে। এছাড়া ভারতের এক তরফা বিশেষ মর্যাদা হ্রাসের প্রেক্ষিতে আগামী ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে জম্মু-কাশ্মীরীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে পালন করা হবে। বৈঠকে ভারতীয় নির্মম বর্ণবাদী শাসন, নীল নক্সা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রকাশ করতে সম্ভাব্য সব ধরনের কূটনৈতিক চ্যানেলকে সক্রিয় করার নির্দেশ দেয়া হয়। বৈঠকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল ও বেসামরিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে সে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে ওই অঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর কাশ্মীরীদের সমর্থন দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডিতে শীর্ষ কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সমর্থন ব্যক্ত করেন তিনি। পাক সেনাপ্রধান বলেন, কাশ্মীরীদের সহযোগিতায় যে কোন পদক্ষেপ নিতে তারা সেনারা প্রস্তুত রয়েছে। কাশ্মীরীদের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত অবিচলভাবে পাশে থাকবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। আমরা প্রস্তুত এবং এক্ষেত্রে দায়িত্ব পুরোপুরি পালনে আমরা যে কোন পর্যায় পর্যন্ত যাব। কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পদক্ষেপ পাকিস্তান সরকার প্রত্যাখ্যানের যে অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী তাকেই পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। সোমবার ভারতের রাজ্যসভায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির কথাও ঘোষণা করেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার লোকসভাও এই বিলে সম্মতি দিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কাশ্মীরে যাতে বিক্ষোভ দানা বেঁধে উঠতে না পারে সেজন্য অন্যান্য জায়গার সঙ্গে অঞ্চলটির যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা থেকে বন্ধ করা ইন্টারনেট ও টেলিফোন নেটওয়ার্ক এখনও সচল হয়নি; উপত্যকাটির বিভিন্ন সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাজার হাজার সদস্যের টহল অব্যাহত আছে। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঘটনা কাশ্মীরজুড়ে প্রতিবাদের বিস্ফোরণ ঘটাবে বলে ধারণা করা হলেও মানুষ সেখানে কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তার কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। ভিসা দেয়নি চীন ॥ মানস সরোবর যাত্রা ঘিরে সমস্যার সম্মুখীন হলেন পুণ্যার্থীরা। চীন দূতাবাস থেকে প্রয়োজনীয় ভিসা না দেয়ায় কৈলাসের তীর্থযাত্রার পথে আটকে পড়েছেন দুই দল পুণ্যার্থী। কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তে বেজিংয়ের অসন্তোষের কারণেই এই পদক্ষেপ কিনা, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই ভিসা পাওয়া যাবে বলে আশ্বাস মিললেও এই ধরনের দেরি কিছুটা হলেও চীনা দূতাবাসের ‘ইচ্ছাকৃত’ বলেই ধারণা ভারতীয় কর্মকর্তাদের। ৩৭০ ধারা রদ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠনের ফলে লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। ভারতের এই সিদ্ধান্তকে ভাল চোখে দেখেনি বেজিং। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই ঘটনায় চীনের সার্বভৌমত্বকে ছোট করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন। সূত্রের খবর, মানস সরোবর যাওয়ার একদিন আগেই ভিসা পেয়ে যান পুণ্যার্থীরা। তবে অনেকদিন আগে আবেদন করার পরেও মঙ্গলবার রাতেও প্রয়োজনীয় ভিসার কাগজ হাতে না পাওয়ায় পথেই আটকে পড়েন এই দুই দল পুণ্যার্থীরা। বুধবার সকালে পুণ্যার্থীদের কৈলাসের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও ভিসা না পাওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাসে করে লিপুলেখ পাস হয়ে তিব্বতে পৌঁছনোর কথা এই পুণ্যার্থীদের। তারপরও দিল্লীতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস থেকে ভ্রমণসংক্রান্ত ভিসার কাগজ না পাওয়ায় অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তীর্থযাত্রীরা। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়ছেন স্থানীয়রা ॥ ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে এক শ’ কিলোমিটার দূরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাস্তায় মানুষজনের আনাগোনা একদমই নেই। দোকান-পাট বন্ধ, বাজারগুলোতে কোন প্রকার প্রাণীও দেখা যায়নি। নীলম নদীর ধারে ওই উপত্যকা পাক অধিকৃত কাশ্মীর, নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে। ভারতের ৩৭০-এর প্রভাব পড়েছে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ওপারের উপত্যকাতেও। নিয়ন্ত্রণরেখার দু’পারেই সেনা-আধাসেনার উপস্থিতি বাড়ছে। সমরাস্ত্রবাহী গাড়ির টহল নিয়মিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি যেমন সৃষ্টি হয়েছে তেমনি আতঙ্কও বেড়েছে। প্রতি গ্রীষ্মে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মতো পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও সাধারণ পাকিস্তানী পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের গন্তব্য। নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে, পর্যটক, অমরনাথযাত্রীসহ উপত্যকার বাইরের লোকজনদের কাশ্মীর ছাড়ার সরকারী নির্দেশ দেয়ার পর থেকেই দলে দলে লোকজন পালিয়ে যাচ্ছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকেও। এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু ॥ জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের অধিকার খর্ব করা, সংবিধানের ৩৭০ ধারার বিলোপ করার সিদ্ধান্ত ঘিরে ইতোমধ্যেই কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ। এতে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। অবশেষে শ্রীনগরের চিত্রটা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করল। আর তাতেই আচ পাওয়া গেল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়ে গেছে উপত্যকায়। বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছিন্ন হলেও পরিস্থিতি খুবই আতঙ্কজনক। বিরোধীদের তেমনই আশঙ্কা ছিল। বুধবার সেখানে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেই শ্রীনগরের রাস্তায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভে শামিল হন কাশ্মীরের সাধারণ নাগরিক। সেই বিক্ষোভকে ঘিরেই সংঘর্ষ। ঘটল প্রাণহানির ঘটনাও। গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকে। গ্রেফতারও হয়েছেন শতাধিক। উপত্যকার বাকি অংশের ছবিটা ঠিক কেমন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ল্যান্ডলাইন, মোবাইল, ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড, ক্যাবল পরিষেবা সবই বন্ধ। সেগুলো চালু হলে এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আরও বাড়বে এমন আশঙ্কাই দানা বেঁধেছে পুলিশ-প্রশাসনের অভ্যন্তরে। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি দলের সঙ্গে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এরইমধ্যে একজনকে তাড়া করে পুলিশ। সেই তাড়া খেয়েই ঝিলম নদীতে ঝাঁপ দেন ওই যুবক। পরে তার লাশ উদ্ধার হয়। ওই সংঘর্ষে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত ছয়জনের দেহে গুলি রয়েছে। এছাড়া আহত অনেকে। অন্তত এক শ’ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাও রয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্তা এই গ্রেফতারির খবর স্বীকারও করে নিয়েছেন। সেই বিক্ষোভ সামলাতে বিশাল সেনা বহর ও আধা-সামরিক বাহিনী পাঠানো হয়েছে। যে কোন মুহূর্তে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে পুরো উপত্যকা। এর মধ্যেই বুধবার শোপিয়ানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়াও করেন। অর্থাৎ তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এরপর শোপিয়ানেই সিআরপিএফের একটি ক্যাম্পে যান তিনি। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে জওয়ানরা যেভাবে কাজ করেছেন, তার কোন তুলনা হয় না বলে জানান ডোভাল। অন্যদিকে সাবেক আইএএস কর্মকর্তা শাহ ফয়সল কাশ্মীরের সামগ্রিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখছেন, শ্রীনগরে জিরো ব্রিজ থেকে বিমানবন্দর, সব জায়গায় কার্যত কার্ফুর চেহারা নিয়েছে। রোগী এবং কার্ফু পাসধারী ছাড়া কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে নিরাপত্তার ভার তুলে নিয়েছে সেনা। শ্রীনগরের বাইরে অন্য জেলাগুলোতে ১৪৪ ধারা আরও কঠোর। রাজ্যের ৮০ লাখ মানুষ এই রকম পরিস্থিতি আগে কখনও দেখেনি। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর মোবাইল নেটওয়ার্ক, টেলিফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হলেও অবশেষে শ্রীনগরের চিত্র প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। কাশ্মীরীদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কাশ্মীরে বিক্ষোভ দানা বেঁধে উঠার আশঙ্কা থেকেই অন্যান্য জায়গার সঙ্গে অঞ্চলটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে বুধবার ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে শ্রীনগরের রাস্তায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভে কাশ্মীরের সাধারণ নাগরিকদের শামিল হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষোভকে ঘিরে সংঘর্ষ, ধরপাকড় এমনকি বিক্ষোভকারী হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে খবরে। গুলিবিদ্ধ এবং আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে অনেকে। অন্তত ১শ’ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাও রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে শ্রীনগরের বাইরের বাকি অংশগুলোর চিত্র কেমন, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।
×