ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পিএসজির সবাই নেইমারকে ভালবাসে

প্রকাশিত: ১২:১৫, ৭ আগস্ট ২০১৯

পিএসজির সবাই নেইমারকে ভালবাসে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অনেক স্বপ্ন নিয়ে বার্সিলোনা ছেড়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনে (পিএসজি) আসেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান তারকা বার্সায় লিওনেল মেসির ছায়া হয়ে থাকতে চাননি। তাইতো স্বদেশী দানি আলভেসের কথায় প্ররোচিত হয়ে তিনি প্যারিসে পা রাখেন। কিন্তু মাত্র দুই বছর যেতে না যেতেই পিএসজি আর ভাল লাগছে না নেইমারের। নতুন ক্লাবে শুরু থেকেই ঝামেলা পোহাতে হয়। প্রথমদিকে এডিনসন কাভানির সঙ্গে সামান্য ফ্রিকিক নেয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। পাশাপাশি ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী তরুণ কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েন ঝামেলায়। এসবের সঙ্গে আরও অনেক কা- ঘটান সেলেসাও তারকা। যে কারণে পিএসজি ছাড়ার জন্য তিনি হন্যে হয়ে উঠেছেন। কিন্তু চাইলেই তো আর হয় না! এখন পর্যন্ত দুইয়ে দুইয়ে চার না হওয়ায় পুরনো ক্লাব বার্সিলোনায় ফেরা সম্ভব হয়নি নেইমারের। তবে আশা ছেড়ে দেননি। এরই মাঝে পিএসজি সতীর্থ এমবাপে আকুতি জানিয়েছেন নেইমারকে থেকে যেতে। অথচ এক বছর আগে এই এমবাপের সঙ্গেই মনোমালিন্য হয়েছিল নেইমার। নিষেধাজ্ঞার কারণে দিন দুই আগে চীনে হওয়া ফরাসী সুপার কাপের ফাইনালে খেলতে পারেননি বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার। ম্যাচটিতে তিনি সাইডবেঞ্চেও বসার সুযোগ পাননি। অন্যান্য খেলোয়াড়ের সঙ্গে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখেন। পুরো ম্যাচেই নেইমারকে কেমন মনমরা দেখা যায়। পিএসজির ট্রফি উৎবসের সময়ও তাকে একপাশে ফ্যাকাশেভাবে দেখা যায়। বিষয়টা বুঝতে পেরে এমবাপে নেইমারকে টেনে নিয়ে এসে উৎসবে শামিল করেন। ওইদিনই নেইমারের পিএসজিতে থাকা প্রসঙ্গে কথা বলেন এমবাপে। ২০১৮ বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান তারকা বলেন, সবাই নেইমারকে ভালবাসে, আমিও তাকে অনেক ভালবাসি। এমবাপে আরও বলেন, আমি জানি না কেন সে দল ছাড়তে চায়। কিন্তু আমি মনেপ্রাণে চাই সে যেন থেকে যায়। কি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা জানি না। কিন্তু নেইমার অসাধারণ একজন ফুটবলার। ভাল বন্ধু, খেলার মাঠে অসাধারণ সহযোদ্ধা। আমি আরও দীর্ঘদিন তার সঙ্গে খেলতে চাই। অথচ এক বছর আগেও নেইমার ও এমবাপের মধ্যে ছিল সাপে-নেউলে সম্পর্ক। ব্রাজিলিয়ান তারকা ব্যঙ্গ করেছিলেন ফরাসী ফুটবলারকে নিয়ে। বিষয়টি এতদূর গড়িয়েছিল যে, এমবাপের পরিবারকেও কথা বলতে হয়। সে সময় এমবাপের মা দাবি করেছিলেন, ছেলে পিএসজিতে সুখে নেই নেইমারের জন্যই। এমবাপের মায়ের অভিযোগের তালিকায় ছিলেন দিনকয়েক আগে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সাওপাওলোতে যোগ দেয়া দানি আলভেসও। তারা দু’জনে মিলে এমবাপেকে উপহাস করে নাকি ‘টিনেজ মিউট্যান্ট নিনজা টার্টল’র চরিত্র ‘দানাটেলো’ বলে ডাকতেন। মজাটি এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গিয়েছিল, নেইমার ও আলভেসের মহাবিরক্ত ছিলেন এমবাপে। যে কারণে দুই ব্রাজিলিয়ানের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অথচ সময়ের বিবর্তনে সেই নেইমারকেই এখন প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন এমবাপে। নেইমারের দলবদল নিয়ে এখন প্রতিদিনই বিভিন্ন রকম গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কখনও চাউর হচ্ছে পিএসজিই চাচ্ছে না নেইমার থাকুক। আবার কখনও শোনা যাচ্ছে, মেসি চাচ্ছেন বার্সিলোনায় ফিরে আসুক। আবার শোনা যাচ্ছে, এ নিয়ে কোন কথাই হয়নি। আদতে কি হয় সেটা দেখতে হলে বদলবদলের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। এসবের পাশাপাশি নেইমারের রিয়াল মাদ্রিদ যাওয়ার গুঞ্জন নতুন নয়। বার্সিলোনায় খেলার আগে থেকেই শোনা গিয়েছিল সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে যেতে পারেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। কিন্তু তা হতে দেয়নি বার্সিলোনা। স্প্যানিশ পরাশক্তিরা মেসি, বসকুয়েটসদের পাশে নিয়ে আসেন সেলেসাও তারকাকে। কিন্তু ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কাতালান শিবিরে থাকার পর ফরাসী ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনে পাড়ি জমান নেইমার।
×