ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিশু সুরক্ষার ভিত্তি স্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:১৯, ৭ আগস্ট ২০১৯

শিশু সুরক্ষার ভিত্তি স্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন ও তা কার্যকরের মাধ্যমে বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ধাপে ধাপে শিশুদের সুরক্ষার অধিকার নিশ্চিত করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১০ সালে জাতীয় শিশু শ্রম নির্মূল নীতি প্রণয়ন করে। এরপর ২০১১ সালে সরকার জাতীয় শিশু নীতিমালা প্রণয়ন করে। এরপর ২০১৩ সালে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের বিধানাবলী অনুসারে নতুন শিশু আইন প্রণয়ন করে এবং এই আইনের কিছু ধারার অস্পষ্টতা দূরীকরণের জন্য ২০১৮ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়। মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষার বিচার ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় শিশু আইন বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জেনেভায় জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কমিটির (ইউএনসিএটি) সভায় পেশ করা সরকারের প্রতিবেদনের কিছু অংশ নিয়ে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনের সমালোচনার জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার, জেল হত্যা মামলার বিচারসহ দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার শেষ করেছি। এরকম সব মামলার বিচার শেষ করেছি। সেক্ষেত্রে আমি যদি দাবি করি, বাংলাদেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সেই পদক্ষেপগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তা নিয়েছে। তাহলে আমি কি মিথ্যা বলেছি? আপনারা বিচার করুন। ব্যারিস্টার খোকনের বক্তব্য প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, এখানে আমার দুটি কথা। প্রথমত, আপনারা সব কিছুই জানেন। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যার কোন এজাহার করা যায়নি। এটা কি আইনের শাসন? তা নয়। তারপরে জেল হত্যা মামলার একটি এফআইআর হওয়ার পরও কোন সুরাহা হয়নি। এটা কি আইনের শাসন? ক্লিনহার্ট অপরাশেন কি আইনের শাসন? কোনটাই আইনের শাসন নয়। আজকে কি আপনারা এমন কিছু দেখছেন? আমি যদি আজকের তথ্যগুলো আর এই তথ্যগুলো তুলে ধরি, তাহলে আপনাদের কাছেই আমি বিচার চাইব আমি সত্য বলেছি নাকি মিথ্যা বলেছি? সেটা আপনারা বিচার করবেন। ‘দ্বিতীয়ত তারা বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। ওনাদের (বিএনপি) সময় ওনাদের মতো করে বিচার পাওয়ার জন্য একজন বিচারপতি যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে পারে সে জন্য সংবিধান সংশোধন করেছিলেন। আমরা ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার, জেল হত্যা, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার শেষ করেছি। সব মামলার বিচার শেষ করেছি। সেখানে আমি যদি দাবি করি, বাংলাদেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সেই পদক্ষেপগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তা নিয়েছে। তাহলে আমি কি মিথ্যা বলেছি? আপনারা বিচার করুন।’ আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি টমো হোজুমি এবং প্রকল্প পরিচালক গোলাম সারোয়ার বক্তৃতা করেন। সাব-রেজিস্ট্রার নুশরাত জাহানের মৃত্যুতে আইনমন্ত্রীর শোক ॥ কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার নুশরাত জাহান (৩৫) মৃত্যুতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মন্ত্রী আজ এক শোক বার্তায় মরহুমার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য, সাব-রেজিস্ট্রার নুশরাত জাহান মঙ্গলবার তার কর্মস্থল রাজারহাট থেকে মাইক্রোবাসে ঢাকায় আসার পথে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলায়। তিনি ২০১৭ সালে সাব-রেজিস্ট্রার পদে যোগদান করেন। দুর্ঘটনার সময় তার দুই ছেলে সন্তান সঙ্গে থাকলেও তারা সুস্থ আছেন।
×