ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আতঙ্কে শিল্পপতি ব্যবসায়ীরা

ঈদ বকশিশের নামে চলছে নীরব চাঁদাবাজি

প্রকাশিত: ১১:১৪, ৭ আগস্ট ২০১৯

ঈদ বকশিশের নামে চলছে নীরব চাঁদাবাজি

শংকর কুমার দে ॥ পবিত্র ঈদ-উল আজহা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঈদের সালাম পৌঁছে দেয়ার নামে অভিনব কায়দায় শুরু হয়েছে চাঁদাবাজি। এই চাঁদাবাজির নাম ‘ঈদের সালাম, ঈদ বকশিশ।’ রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ক্যাডার, সন্ত্রাসী, মস্তান থেকে শুরু করে পুলিশ, কাস্টমস, ইনকামট্যাক্স, ভ্যাট, গ্যাস, বিদ্যুত, ওয়াসা, টেলিফোনসহ সরকারের সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাঁদাবাজির ধুম চলছে। এই নীরব চাঁদাবাজি হয় পরিচিত লোকজনদের কাছ থেকে সমঝোতার মাধ্যমে। এ কারণে ঈদের সালাম দিয়ে ঈদ বকশিশ আদায়ের বিষয়ে থানা পুলিশে কোন অভিযোগ নেই। পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে আলাপ করে এই ধরনের চাঁদাবাজির খবর পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, পবিত্র ঈদ-উল আজহা যতই ঘনিয়ে আসছে এই ধরনের চাঁদাবাজি পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে। কেননা ঈদ-উল-আজহার আগেই চাঁদাবাজি শেষ করতে হবে। এরপর চাঁদাবাজির টাকায় কোরবানিসহ ঈদের কেনাকাটা সারতে হবে। তাই আগেভাগেই চাঁদাবাজি নামের ঈদের সালাম দিয়ে বখশিশ আদায়ে মাঠে নেমেছে রকমারি চাঁদাবাজরা। উপড়ি আদায়ের জন্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের এক ধরনের চাঁদাবাজির কৌশল। ঈদ ঘনিয়ে এলেই, ধুম পড়ে যায় এই ধরনের চাঁদাবাজির। পুলিশ, কাস্টমস, ইনকামট্যাক্স, ভ্যাট, গ্যাস, বিদ্যুত, টেলিফোনসহ সেবা প্রতিষ্ঠানের সবাই এ নিয়েই মহাব্যস্ত। সন্ত্রাসী, মস্তান, রাজনৈতিক ক্যাডার কেউই এই বিষয়ে কম যান না। শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজির এই কৌশলটি মারাত্মক আতঙ্ক। অভিযোগ আছে, পুলিশ উপরি বা বখশিশের নামে চাঁদাবাজির শীর্ষে। রোগ বুঝে যেমন ওষুধ তেমনি কার কাছে উপরি বা বখশিশ চাইতে হবে তা তাদের জানা। আর যদি কেউ মামলা মোকদ্দমা কিংবা কোন ঝামেলায় থাকে তাহলে তাকে নানা ধরনের প্রলোভন বা ভয়ভীতি দেখানো হয়। পুলিশের সঙ্গে কাস্টমস, ইনকামট্যাক্স, ভ্যাট, বিদ্যুত, গ্যাস, টেলিফোন, ওয়াসা, ডেসার মতো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যান এলাকাভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে। সারাবছরে সেবাদানের একথা সেকথা বলে অনুনয় বিনয় আবদারের সুরে আসল কথাটা বলেন, ‘আমরা ঈদের সময়ে পেয়ে থাকি।’
×