ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেট জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ২২ সুপারিশ

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ৭ আগস্ট ২০১৯

সিলেট জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ২২ সুপারিশ

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সিলেট জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ২২টি সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসএমসিসিআই) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এই সুপারিশগুলো তুলে ধরা হয়। সোমবার দুপুরে নগরীর জেল রোডে আনন্দ টাওয়ারে এসএমসিসিআই-এর হল রুমে ‘সিলেট বিভাগের অর্থনৈতিক উন্নয়ন রোডম্যাপ : সম্ভাবনা ও চাহিদা’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ১ম সহসভাপতি শফিউল আলম নাদেলের সভাপতিত্বে বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোছাদ্দেক আহমদ চৌধুরী। সুপারিশমালায় রয়েছে প্রবাসীদের রেমিটেন্স শিল্পোন্নয়নে কাজে লাগানো, জাকাতের টাকার সঠিক ব্যবস্থাপনা, ভারতের সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদার, পর্যটনে গুরুত্ব, শিল্প কারখানা স্থাপন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করা, পোল্ট্রি ফার্ম, ফিশারি ও পশুপালনে গুরুত্ব, ক্লাস্টারভিত্তিক ব্যবসা সম্প্রসারণ, ইকোপার্ক এবং চিড়িখানা ও সাফারি পার্কের গুরুত্ব, বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, কল সেন্টার গড়ে তোলা, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গুরুত্ব, শুঁটকি শিল্পের বিকাশ, এসএমই ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষকতা, সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ সড়ক প্রশস্তকরণ, নিরাপদ খাবার পানির অপ্রতুলতা দূরীকরণ, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার এবং নদীপথ সংস্কার করা। এসব সুপারিশমালার মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব দেয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের মোট রেমিটেন্সের একটি বড় অংশ আসে সিলেট অঞ্চলের প্রবাসীদের মাধ্যমে। এ রেমিটেন্স সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে শিল্পোন্নয়নে কাজে লাগাতে পারলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন গতিশীল হবে বলে মনে করছেন তারা। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য হচ্ছে অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল। ভৌগোলিক কারণে এ রাজ্যগুলোর সঙ্গে ভারতের মূল ভূখ-ের যোগাযোগ ব্যবস্থা কঠিন। বিপরীতে সিলেটের সঙ্গে এসব রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে সহজ। সিলেটের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে এসব রাজ্যে বেশকিছু পণ্য রফতানি করা হয়। সিলেটে স্পেশাল ইকোনমিক জোন দ্রুত স্থাপন করে এসব রাজ্যে বাংলাদেশী পণ্যের বাজার আরও সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা সিলেট। বেশকিছু আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে সিলেটে। পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদান, পরিবেশ দূষণ রোধ, উন্নতমানের হোটেল নির্মাণ, যানজট দূর করা সম্ভব হলে সিলেটের পর্যটন থেকে আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব।
×