ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডেঙ্গু এবং ভিআইপির বলি

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ৭ আগস্ট ২০১৯

ডেঙ্গু এবং ভিআইপির বলি

সম্ভবত ’৯৯ এবং ২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গু জ্বরের কথা শুনেছি যখন আমি ইউনিসেফের স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তারদের সঙ্গে শিশুর যতœ-বিকাশ বিষয়ক পরামর্শক হিসেবে কাজ করছি। হঠাৎ একদিন শুনলাম কম্পিউটার অপারেটরের ছোট মেয়ে সে প্রায় মায়ের সঙ্গে অফিসে আসত, তার ডেঙ্গু হয়েছে। পরে আরও কয়েকজন সহকর্মীর ডেঙ্গু হয়েছে, এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধানের কন্যা এ লেভেলে অসাধারণ ফল করে অফিসে এল। দুই দিন পরই শুনলাম ঐ মেয়ের ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। কদিন পর আমার জ্বর উঠল, হাড় ব্যথা, অরুচি, বমি ভাব, পেটে অসম্ভব এক খারাপ লাগার অস্বস্তি। প্যারাসিটামল খেয়ে যাচ্ছিলাম, পানীয় খেতে হবে বা ডেঙ্গু হয়েছে কি-না এসব ভাবনা মাথায় আসেনি। সুতরাং স্বাভাবিক নিয়মে কিছুদিন পর ঠিক হয়ে গেলাম এবং যথারীতি অফিস শুরু করলাম। আসলে ঐ সময় সত্যি আমার ডেঙ্গু হয়েছিল কি-না জানি না। তবে, আজ একটা বিষয়ে নিশ্চিত হচ্ছি, যেসব অফিসে, যেমন ইউনিসেফ; সব কক্ষে এসি চালানো হয়, সেই সব এসির নিচে পরিষ্কার পানি জমে এবং সেখানেই ঐ এডিস মশার জন্ম হয়। আজকাল সম্ভবত কিছু কিছু এসির পানি স্বয়ংক্রিয়ভাবে শুকিয়ে যায়, কিন্তু অনেক ব্র্যান্ডের এসিতে টলটলে পানি থাকে, যেখানে এডিস মশা জন্ম নিয়ে অফিস, হাসপাতাল, বাড়ি, স্কুল, কলেজের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ডেঙ্গু আক্রান্ত করছে এবং আশপাশের বাড়ির বসবাসকারীদেরও ঐ রোগে আক্রান্ত করছে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আহম কামাল সাহেব বললেন, ইআরডি অফিস ভর্তি মশা, প্রথমে মশার কামড়ে আমার চিকুনগুনিয়া হলো, তারপর আবার মশার কামড়ে ডেঙ্গু হলো যখন বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছিল। আমি আর ইআরডি অফিসে কোনদিন যাব না। যা ভাবছিলাম, সেটিই সঠিক। এসির নিচে জমা হওয়া টলটলে পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ছে এবং শত শত এডিস মশার জন্ম দিচ্ছে। তাহলে, আমাদের ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তারের পেছনে শুধু আশপাশের জিনিসে জমে থাকা পানি শুধু নয়, বরং এই বিস্তারের সঙ্গে রয়েছে বিপুল পরিমাণ অফিস, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজ, বাসাবাড়িতে লাগানো এসির স্বচ্ছ পানি। আমার তো মনে হয়, আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের অন্তত ৭০ ভাগ কমপক্ষে দুটি কক্ষে এসি লাগিয়েছে। আগে যাওবা গুলশান-বনানীর ধনী বাসিন্দারা এসির ঠা-া উপভোগ করত, বর্তমানে যে কোন বহুতল ভবনের অধিকাংশ বাসিন্দা এসি ব্যবহার করছে। তাহলে এসির পানিতে মশারও বংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং অন্যান্য পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রমের পাশাপাশি এসির জমে থাকা পানি শুকানোর বন্দোবস্ত করতে হবে যেহেতু সব এ্যাপার্টমেন্টে এসি আছে এমন ফ্ল্যাটের সংখ্যা এসি না থাকা ফ্ল্যাটের চেয়ে বেশি বলেই মনে হয়। দুই মেয়রকে এদিকে নজর দিতে বলব এবং এলাকায় মাইকে ফ্ল্যাটবাসীদের নিজ নিজ এসির পানি শুকানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঘোষণা দেবেন। এডিস মশার বংশ বৃদ্ধির জন্য এসি অন্যতম দায়ী। প্রতি গ্রীষ্মে জলবায়ু, আবহাওয়ার উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যত, ততই মানুষ এসি কিনবে, এ তো বাস্তব সত্য। একবার আমি গরমে কাহিল হয়ে আমার দিল্লীতে দেখা ভারতীয় জলের দ্বারা ঠা-া বাতাস বের হবার যন্ত্রটি কেনার ইচ্ছায় ইলেট্রকনিক্স জিনিসের বাজারে ঘুরে যেটি দেখেছি সেটি এত বিশাল জায়গা দখল করে যে এটি বাড়িতে স্থাপন করা অসম্ভব। সুতরাং এসি আর কেনা হয়নি। কিন্তু তাই বলে যাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা তৈরি হয়েছে, তারা এসি কিনবে এবং কিনছে। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া এডিস মশার জন্য আরামদায়ক, সুতরাং ওরা ঝোপ ঝাড়ে থাকে, আবার খাদ্যের জন্য মানুষের বাসায় আসতে থাকবে। পত্রিকায় আণবিক কমিশনের বিজ্ঞানীদের এডিস মশার পুরুষকে ক্লীব করার একটি গবেষণায় সফলতার দাবি করেছেন যেটি পড়ে ভীষণ আশ্বস্ত ও খুশি হলাম। আমাদের বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ আট বছর পরে সাফল্য পাওয়ার খবরটি সত্যি বড় আনন্দের। এর আগে চীনের বিজ্ঞানীদের এই একই মশার জন্ম দেবার খবর পড়েছিলাম। ওরা দুটি দ্বীপে এসব ল্যাবরেটরিতে উৎপাদিত মশা ছেড়ে দিয়ে খুব ভাল ফল পেয়েছে বলে জানা গেছে। আমার কথা হলো, যখন বিজ্ঞানে কোন জিনিস আবিষ্কৃত হয়, সেটির ফর্মূলা অনুসরণ করেই তো আমাদের বিজ্ঞানীরা এমন প্রজাতির মশার জন্ম দিয়ে ঢাকার বিশেষ কিছু জায়গায় ছেড়ে দিয়ে পরীক্ষা করতে পারতেন। পরীক্ষণটি সূচনা থেকে করার কি দরকার ছিল? যাহোক, আমরা চাইব- পরীক্ষণের ফল ক্লীব পুরুষ এডিস মশা ঢাকাসহ আশপাশে ছড়িয়ে দেয়া দরকার। ইতোমধ্যে, কলকাতা ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে যা যা করছে, তা তা আমাদের মেয়র ও ওয়ার্ড কমিশনাররা, কাউন্সিলররা অবশ্যই করবেন। তাছাড়া, ছোটবেলায় মা-খালাদের নর্দমায় কেরোসিন তেল ঢালতে দেখেছি। মনে হয়, কেরোসিন তেল মশার লার্ভাকে মেরে ফেলতে পারে। তার পাশে, বাড়িতে নতুন করে সন্ধ্যাবেলা ধূপ-ধুনার ধোঁয়া দিতে পারলে মশারা দল বেঁধে ছুটে পালিয়ে যায়। তখন কিছুক্ষণ জানালা দরজা বন্ধ করে রাখলে সাধারণত পরে আর মশা আসে না। তবে, ডেঙ্গু মশা দিনের বেলা কামড়ায়-সকালে বাচ্চারা, ছুটির দিনে বড়রাও সকালে ঘুমিয়ে থাকে, তখন মশা কামড়ানোর ভাল সুযোগ পায়। সেজন্য অন্তত সবার পায়জামা পরে শোয়া উচিত, মশারি ব্যবহার করতে হবে আর ফ্যান যদি খুব জোরে ঘোরে তাহলে মশা গায়ে বসতে পারে না। দুপুরে-বিকালে যেসব মশা দেখা যায় সেগুলো এডিস মশাই। সে সময় যাতে অফিস- হাসপাতাল-বিশ্ববিদ্যালয়ে, অর্থাৎ এসি আছে এমন কক্ষগুলোতে মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। কম্পিউটারে কাজ করার সময় মশা কামড়ানোর সুযোগ পায়। এ ব্যাপারে নিজেরা নিজেদের রক্ষা করতে হবে। সেটা ক্রিম বা তেল মেখে হোক বা হিট, এ্যারোসল ব্যবহার করেই হোক। এখন ‘দি বার্ডস’ সিনেমার কথা মনে পড়ছে। পাখিগুলো আসলে ছিল কাক, কিন্তু এমন রহস্য ঘেরা ঘটনা ও কাহিনী দেখতে দেখতে ওগুলোকে উড়ে এসে তারে বসতে দেখার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ে বুক কেঁপে উঠত, এখনও সেই শিহরণ মনে পড়ছে। এখন ‘দি মসকিটোস’ নামের এক সত্যিকার বাস্তব কাহিনী দেখছি, যারা আমাদের জন্য অতি নিরীহ, সামান্য ক্ষুদ্র প্রাণী, অথচ তারাই আজ মহাপরাক্রমশালী হয়ে চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, পুলিশসহ কত কত ক্ষমতাধর নারী, পুরুষ, শিশুকে হত্যা করছে! এমনটা আমরা আগে কখনো ভাবিনি, বরং ‘মশা মারতে কামান দাগা’ নামে প্রবাদ দিয়ে এদেরকে উপহাস করেছি! বলা বাহুল্য, জলবায়ু পরিবর্তন এদেরকে ক্ষমতাবান করেছে সন্দেহ নেই। মনে হচ্ছে, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ায় উষ্ণতার ফলে মশা, মাছি জন্ম নেবে, তারপর ঐসব উন্নত দেশেও ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া প্রাচীন আমলের প্লেগের স্থান নিতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের হার হ্রাস করতে আমার তো মনে হয়, আমাদের দেশের কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো এখনই বন্ধ করা দরকার। পরিবর্তে বাতাস-কল, সৌর বিদ্যুত প্রকল্প বাড়িয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের হারকে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে আমাদেরকেও দায়িত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে। এবার জনৈক ভিআইপির জন্য এ্যাম্বুলেন্সে মুমূর্ষু কিশোরকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের পথে ফেরিঘাটে ফেরির তিন ঘণ্টা অপেক্ষার ফলে কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গ। ঘটনাটি বাংলাদেশে নিত্যদিনের সাংঘটিত মর্মবিদারক বহু ঘটনাবলীর মধ্যে একটি স্বতন্ত্র অবস্থান লাভ করে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বহুকাল যাবত আমরা বলছি, আমলারা অবসর গ্রহণ না করা পর্যন্ত জনগণের প্রভু, এমনকি এই যে তিন ঘণ্টা ফেরি একজন আমলার জন্য অপেক্ষা করানোটা তো একজন প্রাচীন যুগের রাজার স্বেচ্ছাচারিতার সমান। তারা জনগণের কাতারে নামে শুধু অবসর গ্রহণের পর। তখন প্রায় তাদের সবাইকে দেখি একজন তিতাসের মৃত্যুর জন্য, একজন তনুর ধর্ষণ ও মৃত্যুর জন্য বা মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতের মৃত্যুর জন্য জনগণের মতই ক্ষোভ, দুঃখ প্রকাশ করে! আমি লক্ষ্য করেছি, বেশ কিছু পুলিশ কর্মকর্তা দরিদ্র অসহায় শিশু-কিশোরদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বা আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করছে। কিন্তু কোন আমলাকে নিজস্ব উদ্ভাবনী মেধা ও বুদ্ধি ব্যবহার করে দেশের, এমন কি নিজ জেলায় কোন সমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখি না। কোন কোন নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেখতে পেলাম নিজ উদ্যোগে স্থানীয় অসুবিধাগ্রস্ত নারী-শিশু কিশোরদের জন্য শিক্ষা, আশ্রয়, উপার্জন এর ব্যবস্থা করেছেন যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং বিরল। যাহোক, জনগণ মনে করে- আমলারা জনগণের প্রভূ নয় সেবক, জনপ্রতিনিধিরাও সেবক, তারা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিও জনগণের সেবক। তাঁরা কখনও কখনও নিরাপত্তার স্বার্থে ভিআইপি হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন। তবে জনগণ মনে করে, এ্যাম্বুলেন্স যখন রোগী বহন করছে তখন সেই এ্যাম্বুলেন্স অন্য যে কোন ব্যক্তির ঊর্ধ্বে ভিআইপি ট্রিটমেন্ট পাবে এবং অন্য যে কোন ব্যক্তির যানবাহনের আগে এই এ্যাম্বুলেন্স অগ্রগণ্যতা পাবে। তা না হলে, দেশ উন্নত দেশে পরিণত হয় কিভাবে? মনে হয়- রাস্তা, ঘাট পুলিশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট যাবার সময় বন্ধ করা একেবারেই অনুচিত। এর ফলে কি হয়, ধরা যাক প্রধানমন্ত্রী একদিন জনপ্রশাসন একাডেমিতে সার্টিফিকেট যেটি শিক্ষামন্ত্রী বা কোন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দিতে পারেন, সেটি দেবেন বিসিএস পাশ করা কর্মকর্তাদের। সেদিন ভোর থেকে পুরো এলাকা এসএসএফ কর্ডন করে রাখল, আমাদের, প্রতিবেশীদের গাড়ি ঐ গলিতে ঢুকতে পারলনা, যদিও একাডেমী অনেকটা দূরে। শুনলাম, প্রধানমন্ত্রী সাড়ে দশটায় আসবেন, সাড়ে এগারটায় চলে যাবেন। এদিকে এসব অনুষ্ঠান না জেনে আমি ঐদিন দুপুরে আমার বয়ষ্কা বড় ভাবী ও আমেরিকা প্রবাসী বড় ভাইঝিকে খেতে বলেছি। হায়! তারা দুপুর ১টার পরও আমাদের বাড়ির গলিতে গাড়ি ঢোকাতে পারলেন না। ইন্টারকন্টিনেন্টালের উল্টো দিকে সাকুরার গলি দিয়ে ঢুকতে বলেছিলাম, পুলিশ ঐ গলির ঢোকার মুখে তাদের গাড়ি আটকে দেয়। অথচ গলিটা বামে এসে আমার বাসার ছোট গলিতে ঢোকে, গাড়িটা সহজেই সাকুরা দিয়ে ঢুকেই বামে ছোট গলিতে ঢুকতে পারত, একাডেমির কাছে যেতে হতো না। ভাবী অনেক কষ্টে অতটা পথ হেঁটে এসে হাঁপাচ্ছিলেন, আমি ভীষণ লজ্জিত ও ক্ষুব্ধ হলাম। পুলিশ, এসএসএফ সর্বত্র এই বাড়াবাড়িটা করে। অথচ দেখলাম, আমাদেরই এ্যাপার্টমেন্ট থেকে নাস্তা-চা খেয়ে বের হচ্ছে ওদের কেউ কেউ। সেদিন নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী ১টার পর পর্যন্ত জনপ্রশাসন একাডেমিতে ছিলেন না, কিন্তু এলাকার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর উপরই রাগ হয়েছে। এগুলো বদলাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বোঝেন এসব। আমার মনে হয়- এইসব সার্টিফিকেট দেয়া, কোন ফ্লাইওভার, রাস্তা, সেতু উদ্বোধন কোন দেশে প্রধানমন্ত্রী করে না, এ দেশেও এসব কাজ মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট গ্রামের কোন সমাজসেবক, ধান গবেষক, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, শিক্ষকরাই করলে সর্বোত্তম এবং কাক্সিক্ষত ব্যবস্থা হবে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ যাত্রার সময় সব মন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিত থেকে বিদায় জানাতে হবে, ফেরার সময় একইভাবে, মধ্যরাত হলেও, দাঁড়িয়ে থাকতে হবে কেন? প্রধানমন্ত্রী, দয়া করে এসব গ্রাম্য আতিশয্য বন্ধ করুন। লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক
×