ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নগদ প্রণোদনা ও ঈদের কারণে বাড়ছে রেমিটেন্স

প্রকাশিত: ১১:৪১, ৬ আগস্ট ২০১৯

নগদ প্রণোদনা ও ঈদের কারণে বাড়ছে রেমিটেন্স

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনার আশায় ব্যাপকহারে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এছাড়া কোরবানির ঈদের কারণেও পরিবার ও নিকটাত্মীয়ের কাছে বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন তারা। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে বড় অঙ্কের রেমিটেন্স এসেছে, এর পরিমাণ প্রায় ১৬০ কোটি ডলার। এটি আগের মাস জুনের চেয়ে প্রায় ২৩ কোটি ডলার এবং গত অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের চেয়ে প্রায় ২৯ কোটি ডলার বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীর কর্মকর্তারা বলছেন, রেমিটেন্স বৃদ্ধির বড় কারণ ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা ও সামনের কোরবানির ঈদ। এছাড়া টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধি, হুন্ডি প্রতিরোধসহ নানা পদক্ষেপ নেয়ার ফলে বৈধ পথে রেমিটেন্স আসার পরিমাণ বাড়ছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের শুরু থেকে বৈধপথে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জানা যায়, বৈধপথে প্রবাসী আয় দেশে আনতে চলতি অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ১ জুলাই থেকেই এটি কার্যকর হবে। এজন্য বাজেটে তিন হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ঈদ-উল-ফিতরের আগের মাস মে মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স আসে দেশে। ওই মাসে প্রায় ১৭৪ কোটি ৮১ লাখ ডলারের রেমিটেন্স আসে। এটি ছিল একক মাস হিসেবে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। এরপরের মাস জুনে রেমিটেন্স প্রবাহ বেশ খানিকটা কমে দাঁড়ায় ১৩৬ কোটি ৪২ লাখ। তবে জুলাইতে সেটি আবার বেড়ে হয়েছে ১৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। এছাড়া গত অর্থবছরের পুরো সময়েও রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে এক হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার রেমিটেন্স আসে। যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ। আগের ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেমিটেন্স আসে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার। এই হিসাবে গত অর্থবছরে রেমিটেন্স বেড়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ। এর আগে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫৩২ কোটি ডলার রেমিটেন্স আসে।
×